ফরিদপুরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। তিনি যোগদানের পর কমে গেছে মাদকের ভয়াবহতা, খুন-খারাপি, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ চাঁদাবাজির ঘটনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন জেলার কৃষক সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনসহ ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের নেতারা।
সাধারণ মানুষ বলছেন হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে অপরাধ প্রবণ এ জেলার দৃশ্যপট, জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। গা ঢাকা দিয়েছে অনেক অপরাধী। অপরাধীদের কেউ কেউ পেশা পাল্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। পুলিশের কৌশলী ভূমিকার কারনেই ভেঙ্গে পড়েছে অপরাধীচক্রের নেটওয়ার্ক। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
স্থানীয় রাজনীতি সচেতন মহল বলছেন, এই জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা রয়েছে ফরিদপুরে পুলিশ সুপারের। বিশেষ করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম যোগদানের মধ্য দিয়ে অপরাধ দমনে তার আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। এছাড়াও সদর উপজেলা বাসীরা জানান, ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান তিনিও সততা ও অত্যান্ত দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ওসি হাসানুজ্জামানের সততা, দক্ষতা ও মানবিকতার সুফল পাচ্ছেন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে থানায় আনা সেবা গৃহিতারা। তিনিও প্রশংসার দাবিদার।
ইতিপূর্বে এই জেলায় পূর্বের পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান তিনিও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সর্বোচ্চ চেস্টা করেও অবশেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখে পক্ষপাতের অভিযোগে তাকে বদলি করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে এ জেলায় পদায়ন করা হয়। মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এ জেলায় দায়িত্ব গ্রহণের পরথেকেই গুরুত্বপূর্ণ এ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাগতভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
এছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোতয়ালী থানায় পরাপর দুইজন ওসিকে বদলি করে ওসি মোঃ হাসানুজ্জামানকে কোতয়ালী থানায় পদায়ন করা হয়। এবিষয়ে ফরিদপুর রাজবাড়ী গোপালগঞ্জ মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের পাঁচ জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত সাংগঠনিক পদ্মা বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকাশ জানান, এটা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এলাকা।
এ জেলায় যারাই আসেন সবাই সততার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বর্তমান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম সাহেব ফরিদপুরে যোগদান করে তার সততা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে এই জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। এখন এ জেলায় আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভালো এবং কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান তিনিও অত্যান্ত ভালো মনের মানুষ, আমি দুজনেরই সাফল্য কামনা করি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের অনেকেই জানান, পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম স্যার ও কোতয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান স্যার খুবই সৎ ও পরোপকারী ভালো মনের মানুষ। তবে কোতয়ালী থানার এক লেবাসধারী পুরানো অফিসার রয়েছে, যার সাথে অধিকাংশ অপরাধীদের রয়েছে গভীর সুসম্পর্ক । তার কাছে সেবা প্রত্যাশী ভালো মানুষেরা সেবা বা ন্যায় বিচার পাওয়ার পরিবর্তে অপরাধীরাই বেশি সেবা বা সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। শহরের সাধারণ মানুষের দাবি, পুলিশ সুপার ও ওসি সাহেবের কৌশলী ভূমিকার কাছে হার মেনেছে অপরাধীরা।
তবে পুলিশের এই প্রশংসনীয় ভূমিকা মানতে পারছেন না কতিপয় কিছু কুচক্রী মহল। কারণ পুলিশের ভূমিকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাত্রা বেশ কমে গেছে। কোতয়ালী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ হাসানুজ্জামান তার উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে বলেন, জনগণের জানমাল ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। আমি যতদিন আছি এই থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাব। আপনারা সহযোগিতা করলে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।