সূর্যমুখী একটি অতিপরিচিত ফুল। এর তেল গুনে মানে অনন্যা। সারা বিশ্বে এর রয়েছে জনপ্রিয়তা। এর বীজ পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
ঘিয়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা বনস্পতি নামে পরিচিত। হৃদরোগীদের জন্য বেশ কার্যকর। এর বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হচ্ছে। কৃষকদের সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য অবলোকন সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ প্রকৃতি প্রেমিদের হৃদয় ছু্ইঁয়ে যায়।
খুলনা কৃষি অঞ্চলের ৪জেলায় ৩২৬৫হেক্টর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ কারা হয়েছে ৩১০০ হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬৫হেক্টর কম। উৎপাদনের সম্বাবনা রয়েছে ৭৪৫১মেট্রিকটন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হবে। আগামী ৩বছরের মধ্যে তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন ৪০শতাংশ বৃদ্দির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছেন।
সূত্র জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের মধ্যে খুলনা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২৬ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১৮০৯ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৪৮২২মেট্রিকটন। বাগেরহাটে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৮৬হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১০৪৮ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা ২০৫১মেট্রিকটন।
সাতক্ষীরায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫০ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১৩৮ হেক্টর । উৎপাদনের সম্ভাবনা ৩৩৮মেট্রিকটন এবং নড়াইলে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৩ হেক্টর। আবাদ করা হয়েছে ১০৫ হেক্টর। উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ২৪০মেট্রিকটন। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক পতিত জমি ফেলে না রেখে আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। আবাদ দেশী হয়েছে। তেল বীজ উৎপাদনে সরকার নানা মূখি পদক্ষেপ নিয়েছে।
সূর্যমুখী ক্ষেত একটি বিনোদনের জায়গাও বটে। প্রকৃতি প্রেমিরা ও ছোট শিশুরাও আনন্দ উৎসব করতে এই খেতে গিয়ে থাকে। অল্প খরচে লাভ বেশী। দেখতে সূর্যের মতো হলুদ বর্ণের সুন্দর একটি ফুল। বীজে রয়েছে লিনোলিক এসিড বিদ্যমান ও উন্নত মানের তেল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, আবহাওয়া ও মাটি সূর্যমুখি চাষের জন্য অনুপযোগি। সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার কারনে আবাদ বেড়েছে। এই অঞ্চল উৎপাদনে সফলতা লাভ করবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন।