প্রতিবছর মেলা আয়োজনের প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে শেষ হলো মানিকগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী বিখ্যাত হাজারী গুড়ের মেলা।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসন কতৃক আয়োজিত মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শায়লা ফারজানা। এসময় প্রখ্যাত বাউল শফি মন্ডল সংগীত পরিবেশন করেন।
উল্লেখ্য, বৃটেনের রানী এলিজা বেথের পছন্দ করা স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় হাজারী গুড়ের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ঐতিহ্য ধরে রাখার লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
মেলায় অর্ধশতাধিক স্টলে হাজারী গুড়, গুড়ের তৈরি বিভিন্ন ধরনের পিঠা, গুড় তৈরির প্রণালী উপস্থাপন করা হয়। খেজুর গাছের চারা বিক্রি, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা ও লোকসংগীত পরিবেশন সর্বমহলে প্রশংসিত হয়।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মেলা উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
এছাড়া, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জাহিদ ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএমবার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
কথিত আছে ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথ হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা এলাকায় উৎপাদিত প্রসিদ্ধ হাজারী গুড় খেয়ে অভিভূত হয়েছিলেন। তারপর থেকে এর সুনাম ইউরোপ আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু কালের আবর্তে আজ তা বিলুপ্তপ্রায়! শত বছরের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার হাজারী পল্লী স্থাপন করেন। গোটা জেলায় পর্যায়ক্রমে ৭ লক্ষাধিক খেজুর গাছের চারা রোপনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায় শুরু করেন। হাতে নিয়েছেন নানাবিধ প্রকল্প।