গত এক সপ্তাহ আগে থেকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবাইদুল্লাহ লিটন ও আবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তি। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে টইটং ইউনিয়নের জালিয়ার চাং এলাকায় পাহাড় কেটে সাবাড় করছে তারা। মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতি নিলেও এতদিন নিরব ছিল প্রশাসন।
স্থানীয়দের দাবি টইটং বনবিট কর্মকর্তা জমির উদ্দিনকে মোটাংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে দিব্যি মাটি পাচার করছিল জুবাইদুল্লাহ লিটনের নেতৃত্বে ওই পাহাড়খেকো সিন্ডিকেট।
এদিকে রাতের আঁধারে স্কেবেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে মাটি কাটার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুম্পা ঘোষ।
শনিবার রাত ৯টার দিকে জালিয়ার চাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করে একটি স্কেবেটর। পরে গাড়িটি বিকল করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন,সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে গত একসপ্তাহ ধরে চলছে পাহাড় কাটা। দিনে কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সন্ধ্যা হলে চলে পাহাড় হত্যার অবৈধ কার্যক্রম। একটি আবার কোন সময় দুইটি স্কেবেটর গাড়ি দিয়ে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে। আর ৪-৫টি ডাম্পার করে নিয়ে যাচ্ছে মাটি।
এবিষয়ে জানতে জুবাইদুল্লাহ লিটনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুম্পা ঘোষ বলেন,পাহাড় কাটার খবর পেয়ে রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মাটি কাটার একটি স্কেবেটর বিকল করে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযানের খবর পেয়ে জড়িতরা সটকে পড়েছে।