কক্সবাজারের পেকুয়ায় লবণ মাঠের পানি চুরি নিয়ে মারপিট হয়েছে। এসময় একজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসিদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আবদুল আজিজ মানিক (২০) পালাকাটা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। তাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত মানিক বলেন, আমি একজন শ্রমিক। পালাকাটা এলাকার নুরুল হকের লবণ চাষ করি। সকালে মাঠে কাজ করছিলাম। এসময় বদিউদ্দিন পাড়ার জালাল উদ্দিন লবণ উৎপাদনের মজুদ করা পানি (বিশেষ পানি) জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় বাধা দেওয়ায় জালাল উদ্দিন, বাহদুর ও কালু আমাকে নির্দয় পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।
এদিকে মাঠের মারপিটের ঘটনা পালাকাটা ও বদি উদ্দিন পাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে দু’গ্রামবাসীর শতশত লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন,দীর্ঘদিন ধরে দু'গ্রামবাসীর লোকজনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বদিউদ্দিন পাড়ার লোকজন লবণ মৌসুমে প্রায় সময় মাঠের লবণ লুট,পলিথিন ও পানির মেশিন চুরি করে নিয়ে যায়। কেউ প্রতিবাদ করলে একজোট হয়ে হামলা চালায় বদি উদ্দিন পাড়ার লোকজন। তারা ডাকু প্রকৃতির লোক। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুজাঙ্গীর,রায়হান,রবিউল আলম, বাহদুর,জালাল উদ্দিন,কালুসহ ১০-১৫ জনের অস্ত্রধারীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা চালায়।
এবিষয়ে জানতে রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে প্যানেল চেয়ারম্যান মো.বাদশাহ মিয়া এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।