ঢাকার ধামরাইয়ে বংশী নদীতে চালকলের ছাই ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উন্মুক্ত স্থানে ফেলা এ ছাই উড়ে লোকালয়ে গিয়ে করছে পরিবেশ দূষণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় কে এন্ড কে অটোরাইস মিল, কাদের আটো রাইস মিল, সৌদিয়া অটো রাইস মিল, সুষমা অটো রাইস মিল থেকে ভ্যানে করে গত ২-৩ বছর ধরে এসব ছাই ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর ওপর ফেলা ছাইয়ে বড় ঢিবির মতো তৈরি হয়েছে। বাতাসে সেখান থেকে কালো ছাই উড়ছে আশপাশে। নদীর পানির ওপরেও ছাইয়ের স্তর তৈরি হয়েছে। এ পানি দৈনন্দিন কোনো কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
কাটাখালী এলাকায় বংশী নদীর পাড়ে বাড়ি করে বসবাস করছে শিউলি আক্তারের পরিবার। তার পুরো বাড়িজুড়েই ছাইয়ের স্তর। কিছুক্ষণ পরপরই ঝাড়ু দিতে হয়। শিউলি বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই এভাবে নদীর ওপর চালকলের ছাই ফেলা হচ্ছে। ছাই উড়ে বাড়ি নোংরা হচ্ছে। যখন বেশি বাতাস আসে, নিঃশ্বাস নেওয়া যায় না। তাকিয়ে থাকা যায় না।
লাকী আক্তার নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, ছাইয়ের জন্য দরজা জানালা খোলা যায় না। বাড়িতে শাকসবজি রোপন করলে সেগুলোতে ছাই জমে যায়।সুষমা রাইস মিলের শ্রমিক ছাই ফেলতে আসা ভ্যানচালক আজগর আলী বলেন, আমি কাম করি সুষম রাইস মিলে, কর্তৃপক্ষ আমারে এইহানে ফালাইতে কয় তাই আমি এইনে ছাই ফালাই। এইডা আমাগো মালিকের জায়গা।
এ বিষয়ে সৌদিয়া রাইস মিল কর্তৃপক্ষ বলেন, আমরা ছাই বিক্রি করি, নদী সংলগ্ন আমাদের জায়গায় কে বা কাহারা ছাই ফেলে তা আমাদের জানা নেই আমরা গতকাল টিন দিয়ে বেষ্টিনী দিয়েছি যাতে অন্য কেউ ওখানে ছাই না ফেলতে পারে।
কে এন্ড কে এবং কাদের অটো রাইস মিলের কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
কেলিয়া আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, একদিকে সরকার নদী খননে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে অপরদিকে ধামরাইয়ে নদী ভরাট করে দখল চলছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করবো এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।
এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, এ বিষয়টা আমার জানা নেই, এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা নেবো।