রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি পাইকান (ব্যাঙ্কপাড়া )এলাকায় তিস্তা নদী থেকে অবৈধ ‘বোমা’ (ড্রেজার) মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, তেমনি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে এলাকার রাস্তা-ঘাট, জমি, গাছপালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্থাপনা। তাদের এমন অবৈধ কাজ দেখার মতো কেউ নেই। নীরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
শুষ্ক মৌসুমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তিস্তার গতিপথের পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্হানীয় এলাকাবাসী।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সড়ক, কালভার্ট, বিভিন্ন স্থাপনার সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে নদী, খাল ও পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। জাবেদ আলী নামের এক ব্যক্তি তিস্তা নদী থেকে অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এদের সাথে আরো জড়িত আছে, মোকছেদুল ইসলাম, মশিয়ার রহমান, উভয় পাইকান ব্যাঙ্কপাড়ার বাসিন্দা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, বসতবাড়ি ও মসজিদ নির্মাণকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে তাদের এই বালু কারবার। উল্লেখ্য বালু কারবারি অত্র এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অজুহাতে অবৈধ বালু কারবার চালিয়ে আসছে।নিচু জমি ভরাট, বাসা-বাড়ি ও নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন কাজের জন্য স্বল্প খরচে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করেন। দাম নির্ভর করে দূরত্বের ওপর।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান বলেন, যারা কালপিট তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন এরাতো জাতির জন্য ক্ষতিকর, এটা কেন বন্ধ হচ্ছে না আপনারা বেশি করে রিপোর্ট করেন।