শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করা প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করেন। আদালত শুনানির জন্য আগামী রোববার (১০ মার্চ) পরবর্তী দিন রেখেছেন।
অপর তিনজন হলেন: গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেয়া আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ আসামির জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালতে। সেইসঙ্গে এ মামলার আপিল শুনানির জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। ৩ মার্চ সকালে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস। জামিন নিতে আসেন গ্রামীণ টেলিকমের আরও তিন আসামি।
এ দিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটিশ হাইকমিশন, নেদারল্যান্ডসসহ কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষকরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।