চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভ্যানচালক তোফাজ্জল হক হত্যা মামলার মূল আসামিসহ হত্যাকান্ডে জড়িত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসাথে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া অটোরিক্সা ভ্যানসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বহরম হঠাৎপাড়ার মোঃ গানুর ছেলে (মূল আসামি) রুহুল আমিন কালু, সদর আলীর ছেলে খাইরুল ইসলাম, রবিউল ইসলামের ছেলে ফটিক আলী ও রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার বহরইল গ্রামের শাহজাহানের ছেলে জুয়েল রানা।
এই মামলার আসামিদের ১ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার(১৩মার্চ) দুপুরে শিবগঞ্জ থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সদর উপজেলার ভ্যানচালক তোফাজ্জল হকের ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভ্যান ভাড়া নেয়ার কথা বলে ডেকে নেয় সদর উপজেলার বহরম হঠাৎপাড়ার মোঃ গানুর ছেলে রুহুল আমিন কালু।
পরে তোফাজ্জলকে আমের ডাল ও দাউলী দিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর বাঁধ সংলগ্ন একটি ইটভাটার পাশে সরিষার খেতে কেটে রাখা সরিষার চারার মধ্যে রেখে আগুন ধরিয়ে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরের দিন ১মার্চ সকালে স্থানীয়রা সরিষার খেতে আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে।
একই দিন র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রুহুল আমিন কালুকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার ও ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েক ধাপে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে মূল আসামি রুহুল আমিন কালু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে এবং অন্যদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।