পাপ মোচনে মহা অষ্টমীতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে গঙ্গা স্নানে সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশবাসীর শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিনব্যাপী উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ির প্রায় ৩'শ বছরের পুরোনো শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের পাশে যমুনা নদীর পাড়ে গঙ্গা স্নানোৎসব এবং মেলার আয়োজন করে খানুরবাড়ী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও গোবিন্দাসী গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে পাপ মুক্ত হবেন এমনটাই বিশ্বাস পুণ্যার্থীদের। নদীতে স্নানোৎসবে হাজারো পুণ্যার্থীদের ঢল নামে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই টাঙ্গাইল ও অন্যান্য জেলার হাজারো ভক্ত ও পুণ্যার্থী যমুনা নদীতে স্নান করতে আসে। তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে বিভিন্ন মানত ও দেশবাসীর শান্তি কামনায় প্রার্থনা করে পূজা অর্চনা করেন। এদিকে গঙ্গা স্নানকে কেন্দ্র করে মেলারও আয়োজন করা হয়। এ মেলায় বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার, চিড়া মুড়ি, দই, বাঁশ-বেতের আসবাবপত্র, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা, পুতুল, ঘোড়া, গাড়ি, হাড়ি পাতিল সহ দোকানিরা তাদের পণ্য সাজিয়ে বসেছে।
গঙ্গা স্নান করতে আসা পুণ্যার্থী ও ভক্তরা বলেন, ভোর থেকে খানুরবাড়ী কালি মন্দিরের পাশে নদীর তীরে ভক্তদের আগমনে লোক লোকারণ্যে পরিণত হয়। গঙ্গা স্নানের মাধ্যমে আমরা মনকে শুদ্ধি, পাপ মোচন, পবিত্রতা এবং মঙ্গল কামনা ও মনবাসনা পূরণ করি।
গঙ্গা স্নান করতে আসা সাধন দাস, দিপীকা রানী, লাবনী রানী, শ্যামল ঘোষ ও রনজিত হালদার বলেন, নদীর পাড়ে নতুন জলে গঙ্গা স্নান করতে ও পূজা দিতে এসেছি। মহা অষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে আসেন।
আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিত ঘোষ বলেন, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী কালি মন্দিরের পাশে যমুনা নদীতে ভোর থেকে গঙ্গা স্নানোৎসব হয়ে থাকে। বিগত বছরের চেয়ে এবছর পুণ্যার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা আয়োজক কমিটির মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের রান্না করা খাবার, স্নান করে কাপড় পাল্টানোর ব্যবস্থা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করেছি। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করছে।