কেশবপুরে ভুমিদস্যু স্বপন গংদের বিরুদ্ধে পুরাতন সরকারী পশু হাটটি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ভুমিদস্যুদের কবল থেকে ঐ সরকারী জায়গাটি উদ্ধার করে নিজেদেরঅনুকুলে নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭৩ নং কেশবপুর মৌজার সাবেক ২৭১ নং, হাল ৬৪৫,৬৪৬ নং দাগের জমির এস এ ও আর এস রেকর্ডীয় ১৮.৮৮ শতক জমির উপর কেশবপুর শহরের প্রানকেন্দ্র ত্রিমোহিনী সড়কের উত্তর পাশ্বে মেইন সড়কে ব্রিটিশ আমলের ঐ পুরাতন সরকারী পশু হাটটি অবস্থিত। ঐ পশু হাটটি ১৯২৭ সালে কেশবপুরের জমিদার যোগিন্দ্রনাথ বন্ধোপাধ্যায়ের নামে প্রথম সি এস বেকর্ড হয়। পরবর্তিতে ১৯৬২ ঐ সরকারী হাটটি যশোর জেলা প্রশাসকের নামে এস এ রেকর্ড হয়। ১৯৭৮ সালের ২১ অক্টোবর মহামান্য রাষ্ট্রপতির এক আদেশে ঐ পশু হাটটি কেশবপুর ক্যাটেল মার্কেট হিসাবে সিএস রোলের গেজেট প্রকাশ হয়।
১৯৯৪ সালে পশু হাটটি মাইকেল রোর্ডে স্থানান্তর করার কারণে পুরাতন হাটে পশু বেঁচাকেনা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তিতে ঐ পুরানো পশু হাটটি সরকারী সম্পত্তি হিসেবে সর্বসাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবহার্য্য বর্তমানে সকাল বিকাল মাছ, মাংস, শাক-সজবি, দুধ বেঁচা কেনা হয়।
সম্প্রতি স্বপন গংরা ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ও আদালতকে ভূল বুঝিয়ে মামলার রায় নিজেদের অনুকুলে নিয়ে পুরাতন সরকারী ঐ পশু হাটটি দখলের চেষ্টা করে আসছে। যার মামলা নং- দেং ১২৭/২৩।তাদের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষ উক্ত সম্পত্তির উপরে যশোর বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে ২১/২৪ নং টাইটেল আপীল করেন, যা চলমান রয়েছে। আগামী ১৫/০৫/২০২৪ তারিখে ঐ মামলার শুনানীন দিন ধার্য্য থাকলেও স্বপন গংরা বুধবার ঐ সরকারী সম্পত্তির উপর অবস্থিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভাংচুর চালিয়ে দখলের চেষ্টা চালায়।
সংবাদ পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বপন গংদের কবল থেকে সরকারী সম্পত্তি উদ্ধার করে নিজেদের অনুকুলে নেয়। এ ব্যাপারে স্বপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গো-হাটের জমি পূর্বে আমাদের ছিলো। এখনও আছে। কিছু টিনের ঘর সংষ্কার করার জন্য চেষ্টা করলে উপজেলা প্রশাসন আমাদেরকে বাধা প্রদান করেন এং আগামী রবিবারে আমারদের সকল কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হাজির হতে বলেন।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সরকারী পুরাতন ঐ পশু হাটটি ১৯২৭ সালে থেকে রাষ্ট্রের দখলে রয়েছে। বর্তমানে স্বপন গংরা কিছু বানোয়াট কাগজপত্র দেখিয়ে এবং আদালতকে ভুল বুঝিয়ে ঐ মামলার রায় নিজের অনুকুলে নিয়ে দখলের চেষ্টা করছিল। আমরা সরকারী ঐ জায়গাটি দখলমুক্ত করেছি। পুণরায় দখল করার চেষ্টো করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।