দেবরের অত্যাচার নির্যাচনে ৬/৭ দিন বাড়ি ছাড়া এক প্রবাসীর স্ত্রী। গত এক সপ্তাহ ধরে ছোট ছোট তিনটি ছেলে মেয়ে নিয়ে প্রতিবেশির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে প্রবাসীর ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে মাদকাসক্ত দেবর। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় বাড়ি ফিরতে পারছে না সন্তানসহ ওই প্রবাসীর স্ত্রী।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বচিয়ারা গ্রামের। সীমা আক্তার ওই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ আলমগীর মিয়ার স্ত্রী এঘটনায় সীমা আক্তার দেবর জসিম মিয়া ও তার জা—কে অভিযুক্ত করে আখাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও সীমা আক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে সীমা আক্তারের স্বামী আলমগীর সৌদি আরবে থাকে। বাড়িতে একটি বিল্ডিং ঘরে পাশাপাশি ২টি কক্ষে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন সীমা আক্তার। অপর দুটি কক্ষে দেবর জসিম তার স্ত্রী—সন্তান নিয়ে থাকে।
দেবর জসিম একজন মাদকাসক্ত। সে কোন কাজ কর্ম করে না। সে প্রায়ই সীমা আক্তারের সাথে আপত্তিজনক আচরণ করে। কু প্রস্তাব দেয়। লোক লজ্জার ভয়ে সীমা আক্তার কাউকে বলে না। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দেবর জসিম সীমা আক্তারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলে। টাকা না দিলে সীমা আক্তার বাড়িতে থাকতে পারবে না বলে হুমকি দেয়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে জসিম উত্তেজিত হয়ে সীমার আক্তাকে কিল ঘুষি ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত করে। ধস্তাধস্তির সময়ে সীমা আক্তারের গলা থেকে একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় জসিম। উত্তেজিত হয়ে ওই গৃহিনীর ঘরের দরজা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। সীমা আক্তার ও তার ছেলে মেয়েদের চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এসে তাদেরকে রক্ষা করে। এ ঘটনার পর থেকে সীমা আক্তার ছেলে মেয়েদেরকে নিয়া পাশ্ববর্তী আল আমিন মুন্সীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার বিকালে সরজমিনে বচিয়ারা সীমা আক্তারের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙ্গা পাওয়া গেছে। সীমা আক্তার বলেন, জসিম প্রায় সময় আমাকে মারধর করে। সাবল নিয়ে কুড়াল নিয়ে আমাকে মারতে আসে। তার ভয়ে আমি বাড়িতে আসতে পারি না। সাংবাদিকদদের সাথে কথা বলতে দেখে, জসিম উত্তেজিত হয়ে সীমা আক্তারকে শাশ্বাতে থাকে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত দেবর জসিম বলেন আমার দাবী কৃত টাকা ও আমার ভাই আমাকে ফোন না দিলে তারা বাড়িতে থাকতে পারবে না।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, সীমা আক্তারের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।