কক্সবাজারের টেকনাফে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য ‘ফাঁকা গুলি’ ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলা হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে সাবেক এমপি বদি ঘটনাস্থলে যান। তার সঙ্গে গাড়ি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাফর আহমেদসহ আরও লোকজনও সেখানে যান। সেখানে তাদের সঙ্গে নুরুল আলমের কথা-কাটাকাটি হলে বদি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় জাফরের হাতেও অস্ত্র ছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলম সমকালকে বলেন, ‘মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর নির্বাচনী এলাকা পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি তার সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। পরে সেখানে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বদি ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। ভয়ে আমার সর্থকরা পালিয়ে যান। এরপর আমি জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯- এ কল দেই।
তিনি আরও বলেন, থানায় অভিযোগ করবো। আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে কেউ যাতে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি মেনে নিতে পারছেন না।
অভিযোগ অস্বীকার চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম সমকালকে বলেন, নুরুল আলম আমার এক সর্মথককে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি আর বদি ভাই সেখানে যাই।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘ছাত্র ও যুবলীগের জরুরি বৈঠক ছিল। এরপর ফেরার পথে সাবেক আবদুর রহমান বদি ও জাফর আহমেদ তার দলবল নিয়ে আমাদের লোকজনকে ভয়ভীতি সৃষ্টি করতে গুলিবর্ষণ করে। নির্বাচনে আতঙ্ক তৈরি করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়।’
এ বিষয়ে জানতে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।