ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার ফারহানা আক্তার সুমিকে এমপি-মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে বক্তব্য রাখেন ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ।
এরকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক না থাকায় আওয়ামী পরিবারের নেতা কর্মীরাই সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহন করে। অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় নেতা কর্মীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করাসহ ভোট প্রদান না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করলেও বিএনপির বেশ কিছু নেতা কর্মীরা আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মাঠে ঘাটে প্রচার প্রচারনায় অংশ নিয়েছে এবং বিজয়ী প্রার্থীর সংবর্ধনা সভায় অংশ গ্রহন করে জনগনকে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে প্রার্থীর পাশে থাকার আহবান জানান বিএনপির কয়েকজন নেতা।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার ফারহানা আকতার সুমির সংবর্ধনা সভার এক ভিডিওতে দেখা যায় উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রউফ প্রামানিককে।
রউফকে বলতে দেখা যায় “এলাকার স্বার্থে ভবিষ্যতে ওনাকে ভোট দিবেন, ওনার হাত শক্তিশালী আছে। এলাকার উন্নয়নের জন্য আগামীতে ওনাকে এমপি মন্ত্রী বানাতে চাই। আমরা যতই বিএনপি করি না কেন, দলমত নির্বিশেষে তাকে এমপি মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই।”
গোমনাতী ইউনিয়নে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সুমির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথির আসন গ্রহন করেন উক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ হোসেন।ইলিয়াছ হোসেনও চেয়ারম্যান সুমিকে এমপি বানাতে জনগনের কাছে আগামীতে ভোট দেওয়ার কথা বলেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহমেদের নির্বাচনী সভার স্থির চিত্রে দেখা যায় জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মারুফ মহিউদ্দিন সুজনকে।
এব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ বিন সুমন বলেন,বিএনপিতে ছদ্মবেশী আদর্শ ও স্বার্থান্বেষী সুবিধাবাদী একটি চক্র সদ্য সমাপ্ত ডোমার উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে পরোক্ষভাবে কাজ করেছে। যার কারনে এই উপজেলায় ৫১ শতাংশর উপরে ভোট কাস্টিং হয়েছে। আব্দুর রউফের বক্তব্য আমি শুনেছি। আমি তার দল থেকে বহিস্কারের দাবী করছি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু জানান,আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। তাদের বহিস্কারের জন্য হাই কমান্ডকে অবগত করা হয়েছে।