দশমিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এনায়েতুল ইসলাম নামে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রতীক ছিল আনারস।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দশমিনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সময় লিখিত বক্তব্যে এনায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘২১ মে অনুষ্ঠেয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, ঘর দখল, মিছিলে বাধা, পথসভায় হুমকি, মাইকিং প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছেন দোয়াত-কলমের প্রার্থী আবদুল আজিজ ও তাঁর সমর্থকেরা। আমি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করার পরও সুরাহা না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনায় আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরিচালনার জন্য গত ১১ মে আমি একটি ঘর ভাড়া নিই। ওই ঘর ১৪ মে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী আবদুল আজিজের সমর্থক রাতে দখল করে তাদের নির্বাচনী ঘরে পরিণত করে। পড়ে দশমিনা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আমার ঘর দখলের বিষয়ে লিখিতভাবে জানালেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
গত ১৫ মে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানিবাজারে পথসভা করলে সেখানে দোয়াত-কলমের সমর্থক বাধা দেয়। তাতে আমি পথসভা করতে পারিনি। আমার প্রচার মাইক বন্ধসহ নির্বাচনী প্রচারে পদে পদে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে বলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই আশঙ্কা করছি, আগামী ২১ তারিখ দশমিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই এই লোভ দেখানো নির্বাচন থেকে আমি আমার সব কার্যক্রম ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলাম।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ মে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. এনায়েতুল ইসলাম (আনারস) একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল আজিজের (দোয়াত-কলম) বিরুদ্ধে, তাঁর নির্বাচনে ব্যবহৃত ঘর দখল করা হয়েছে মর্মে। কিন্তু ঘরের চুক্তিনামা চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।’সে ‘নির্বাচন থেকে তিনি নিজেকে প্রত্যাহার করেছেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য দশমিনা উপজেলা নির্বাচন কমিশন সর্বদা নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’