হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা। থানাটিতে প্রায় আড়াই মাস ধরে ওসির পদ শূন্য। এরপর থেকেই দায়িত্ব দেয়া হয় সাব-ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন মোল্লাকে। থানার স্টাফ কাঠামোতে এসআই’র দুটি পদ। সালাউদ্দিন না থাকলে ওসির কাজ চালান আরেক সাব-ইন্সপেক্টর সারোয়ার হোসেন।
জানা যায়, গত ৭ মার্চ খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলীকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকেই পদ দুটি শূন্য রয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিজয়নগরের সাতবর্গ পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় থেকে কুটি চৌমুহনীর কালামোড়া ব্রিজ পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অধিনস্থ।
এই মহাসড়কের নির্বিঘ্নে-নিরাপদে যানচলাচল ও যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান, মহাসড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) প্রতি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা-পুলিশ।
হাইওয়ে থানাটিতে একজন পরিদর্শক (ওসি), দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সার্জেন্ট (এসআই পদমর্যাদা), একজন এটিএসআই (ট্রাফিক), চারজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), দুজন নায়েক, ৩০ জন কনস্টেবল, চারজন চালক, একজন জুনিয়র সেরেস্থা (মুন্সি) ও একজন করে কম্পিউটার ও ওয়ারলেস অপারেটর, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ রয়েছে। কিন্তু ওসিসহ অনেক পদে জনবল-সংকট রয়েছে।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন মোল্যা বলেন, জনবল-সংকটের কথা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন। সংকটের মধ্যেও আমরা অনেক কষ্ট করে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) খাইরুল আলম বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে এখানে একজন ওসি পদায়ন করা হবে