ঢেউয়ের সাথে সেলফি তুলতে ও ভিডিও করতে কুয়াকাটার সাগর তীরে ভিড় করছেন পর্যটকসহ স্থানীয় জনগণ। বারবার সতর্ক করার পরেও পর্যটকদের সমুদ্রসৈকত থেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়ে পাঠানো যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
বাধ্য হয়ে টুরিস্ট পুলিশ তাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বল প্রয়োগও করছেন। আজ রোববার বিকেলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সমুদ্রসৈকতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। এই দৃশ্যের ছবি তুলতে কিংবা ভিডিও করছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। কেউ বা আবার সরাসরি দেখাচ্ছেন।
সিলেট থেকে আসা পর্যটক ছাদুল আহসান বলেন, ‘এর আগেও একাধিকবার কুয়াকাটা এলেও এবারই প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের এক্সপেরিয়েন্স নিতে এসেছি, ভীষণ উপভোগ করছি আজকের ঝড়ো বাতাস।’
রাজধানী থেকে আগত পর্যটক সীমা হালদার বলেন, ‘ভয় কাজ করলেও আবহাওয়াটা উপভোগ করছি। বড় বড় ঢেউ দেখে সার্থক কুয়াকাটায় ভ্রমণ।’
আবদুর রাজ্জাক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, ‘আমার বাড়ি সমুদ্র সৈকতে কাছাকাছি। তবে এখন আসছি বন্যার ঢেউ দেখতে। পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাব রাতে। এখন পরিস্থিতি দেখছি।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর কুয়াকাটার ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। তারা পর্যটকদের নিরাপদে রাখতে মাইকিং করছেন। তারা সমুদ্রসৈকতে ভিড় করছেন। তাদের বুঝিয়ে নিরাপদে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। উৎসুক পর্যটকদের কোনোভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না।’