নামাজ আদায় করতে মসজিদে প্রবেশ করেন মো. ফজলুল হক (৬৫)। নামাজ শেষ করে এসে দেখেন তার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন অটোরিকশাটি নেই। অটোরিকশা হারানো ফজলুল হক একই উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নামাজের আগে মসজিদের পাশেই রেখেছিলেন অটোরিকশাটি। নামাজ শেষ হওয়ার আগেই চোররা তার রিকশাটি নিয়ে গেছে। মসজিদ থেকে বেরিয়ে অটোরিকশা না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বৃদ্ধ ।
ফজলুল হক
রিকশা হারিয়ে ফজলুল হক বলেন, আমার জন্য সংসার চালানো কঠিন হয়ে গেল। এখন আমি এখন সংসারের খরচ ও কিস্তির টাকা কোথায় পাব?
স্থানীয়রা জানান, দরিদ্র ফজলুল হক বয়সের ভারে অন্য কোনো কাজ করতে পারেন না। তাই ঋণ করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি কিনেছিলেন। এটি ছিল তার পরিবারের আয়ের একমাত্র মাধ্যম।
বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনিছুর রহমান বলেন, ফজলুল হক গরীব মানুষ। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে কোনোমতে সংসার চালাতেন। রিকশাটি চুরি হওয়ায় তিনি এখন চরম অসহায় হয়ে পড়লেন।