"তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করুন, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন" এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাবিশ্বের ন্যায় ঢাকার ধামরাইয়ে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে ধামরাই পৌরসভার আয়োজনে ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবিরের নেতৃত্বে আব্দুস সোবহান মডেল হাই স্কুল থেকে একটি র্যালী বের হয়। র্যালীটি ধামরাই পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীটিতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গণি, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, ধামরাই উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন।
আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যার সুফল জনগণ পাচ্ছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন। তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বিশ্ব ব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকমুক্ত'র দাবি দিনকে দিন জোরালো হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তামাকমুক্ত করার সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় হলো মূল্য ও কর বাড়িয়ে এটিকে মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে যাওয়া।
বক্তারা আরও বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সের ব্যক্তির নিকট বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যে ৫০০০ টাকা জরিমানা। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নেশা থেকে রক্ষা করা আমার আপনার সবার দায়িত্ব। তাই আসুন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তা নিষিদ্ধ করতে, ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি।
আলোচনাসভা শেষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তামাক থেকে নিরুৎসাহিত করতে ছোট নাটিকা প্রদর্শন করে। এছাড়াও পৌরসভা চত্ত্বরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ভিজ্যুয়াল মেলায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।