প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। একজন জাপানে, একজন কানাডায় থাকেন। দেশে এলেন কদিনের জন্যে এসে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। মাত্র একদিনের মাথায়প্রেমিককে খুন করে চিরকুট লিখে লাপাত্তা কানাডাপ্রবাসী নারী।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আরিফুল ইসলাম নামের এক জাপান প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, কানাডা প্রবাসী এক নারী কৌশলে তাকে বাংলাদেশ এনে খুন করে ফের কানাডা চলে গেছেন। শনিবার বিকালে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শনিবার (১ জুন) অ্যাপার্টমেন্টের অফিস থেকে ফোন করে পুলিশকে জানানো হয়, দোতালার সেই ফ্ল্যাট থেকে একজনের গলিত মরদেহ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, নিহত আরিফুল জাপানপ্রবাসী। পরিবারকে না জানিয়েই ১৭ মে দেশে আসেন তিনি। তার সঙ্গে যিনি ছিলেন তার নাম পারভীন আক্তার। তিনি কানাডাপ্রবাসী। বাসা ভাড়া নিতে পরিচয় দিয়েছিলেন স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে।
রহস্যের এখানেই শেষ নয়। ঘটনাস্থলে একটি চিরকুটে স্পষ্ট করে লেখা আরিফকে হত্যার কারণ। চিঠিটি হত্যাকারীর লেখা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আবার দুজনেরই আলাদা সংসার থাকলেও ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় একটি বিবাহের ঘোষণাপত্র, যা করা হয়েছে ২০২১ সালে। তিন বছর পার হলেও আরিফুলের পরিবার জানে না কিছুই।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৩১ মে দুপুরে জাপানে পৌঁছার কথা ছিল আরিফুলের। বাসায় না পৌঁছায় সেখান থেকে তার গর্ভবতী স্ত্রী আরিফুলের মাকে ফোন করে জানানোর পর উদ্বেগ বাড়ে পরিবারটির মধ্যে।
এদিকে, সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট জানায়, মরদেহের বুকে ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, হত্যাকারী এত দ্রুত গেলেন কোথায়? পুলিশ বলছে, ১৬ মে পারভীন দেশে আসেন এবং ১৮ মে তার মোবাইলের সর্বশেষ অবস্থান দেখা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, সবশেষ ১৮ মে সকালে পারভীন আক্তারকে ছোট একটা ভ্যানিটি ব্যাগসহ রুম থেকে বের হয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। এরপর ওই রুমে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।