মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
দাফনের সময় ‘কেঁদে উঠল’ মৃত নবজাতক!
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪, ১:০৬ PM
নেওয়া হচ্ছিল কবর দেওয়ার প্রস্তুতি। এমন সময় কার্টন খুলতেই কান্না শুরু করে নবজাতক। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় নবজাতককে। ‘মারা যাওয়া’ সেই নবজাতক এখনও বেঁচে আছে! মীরসরাই উপজেলার উপজেলার ১০নং মিঠানালা ইউনিয়নের পূর্ব মিঠানালা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

নবজাতকের বাবা মীরসরাই উপজেলার পূর্ব মিঠানালা গ্রামের উমর আলী সারেং বাড়ির মীর হোসেনের ছেলে ইউনুস আলী। তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার পেটে ব্যথা অনুভব ও রক্তক্ষরণ হলে শনিবার সকালে মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

দায়িত্বরত গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিন আয়েশা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, বাচ্চা ভালো আছে। তবে রক্তক্ষরণের কারণে রোগীর দুর্বলতা কাটাতে গ্লুকোজ স্যালাইন দেন। এরপর তার পেট ব্যথা আরও বেড়ে যায়। বিকেলে পুনরায় আলট্রা করার পর চিকিৎসক জানান, বাচ্চা মারা গেছেন।

উপজেলার মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতালে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ডেলিভারি হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি নবজাতকটি ছিল মৃত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী ৯টার দিকে একটি কার্টনে করে বাড়িতে নেওয়া হয় নবজাতকের ‘মরদেহ’। 

শিশুর বাবা ইউনুস আলী জানান, কেঁদে ওঠার পর নবজাতকে দ্রুত মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে উপস্থিত লোকজন আমার বাচ্চা জীবিত অবস্থায় দেখে দ্রুত চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে রাত দেড়টায় আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। আমার বাচ্চা এখন চিকিৎসাধীন।

ইউনুস আলী অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে বাচ্চা সুস্থ আছেন বলে জানান ডাক্তার শারমিন আয়েশা। এরপর আমার স্ত্রীর শরীরে স্যালাইন পুশ করার পর তীব্র পেট ব্যথা শুরু হয়। পরে বিকেলে পুনরায় চেকআপ করে বলেন, বাচ্চা বেঁচে নেই। পরে ডেলিভারির ব্যবস্থা করেন। আমাকে বাচ্চা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য কার্টনের ব্যবস্থা করতে বলেন। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ডেলিভারি হয়। পরে ৯টার দিকে কার্টনে করে বাচ্চাকে দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাই। এরমধ্যে কবর খোঁড়াও সম্পন্ন হয়ে গেছে।

যেহেতু ৫ মাস ১৯ দিন বয়সী বাচ্চা, বাড়ির সবাই কার্টন খুলতে নিষেধ করেন। পরে কবর দেওয়ার জন্য কার্টন খুলে দেখি বাচ্চা কান্না করছে। বেঁচে থাকলেও বাচ্চার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো না। এজন্য ডাক্তার শারমিন ও মিঠাছরা জেনারেল হাসপাতাল দায়ী।

এ বিষয়ে জানতে মিঠাছরা হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক গাইনি বিশেষজ্ঞ শারমিন আয়েশার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত