লাইনে দাড়িয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিব্বুর রহমান।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় ধুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিন তার ভোট দেন। এর আগে তিনি ওই কেন্দ্রে পৌছে ভোট দেওয়ার জন্য আধাঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করেন। এসময় তার স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেখা ফাতেমা রেখাও ওই একই কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রতিমন্ত্রী লাইনে দাড়িয়ে ভোট দেওয়ায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
সকাল আটটায় শুরু হয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভোটারের সংখ্যা। দুই উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ৩শ‘ ৩৮ জন। নির্বাচনে কলাপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রাার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। আর রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।
আইনশৃংখলা রক্ষায় মাঠে ২৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ টি র্যাবের টিম, ৭ প্লাটুন বিজিবি, ৮টি কোষ্টগার্ডের টিম ও নৌবাহিনীর সদস্য সহ প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও মাঠে পুলিশের স্টাইকিং ফোর্স ও স্টান্ডবাই টিম সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ টহলে রয়েছে।
ধুলাসার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের ভোটার শহিদুল ইসলাম জানান, এর আগের নির্বাচনগুলোতে আমাদের এলাকার যারা এমপি মন্ত্রী ছিল বা যারা উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিল তারা এসেই লাইনে না দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে চলে গেছেন।
কিন্তু আজ আমাদের মন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাতারে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। তিনি আমাদের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন এর জন্য আমরা অনেকটা উচ্ছসিত। একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা জয়নাল আবেদিন জানান, মন্ত্রী সঙ্গে একই স্থানে দাড়িয়ে থেকে ভোট দিয়েছি। তিনি এলাকায় ভোট দিতে এসেছেন এজন্যই আমরা অনেকটা খুশি। তার উপর একেবারে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। এরকমের এর আগে আর কখনো দেখিনি।
পটুয়াখালী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খান আবি শাহনুর হক বলেন, সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট গ্রহনের লক্ষে মাঠে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আশা করছি একটি অবাধ ও গ্রহনযোগ্য ভোট উপহজর দিতে পারবো।