শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫ ৬ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫
বিয়ের দাওয়াত না দেয়ায় মারামারিতে ১ জন নিহত
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ৪:৪৭ PM
বিয়ের দাওয়াত না দেয়াকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে দুই পরিবারের মারামারিতে নিলিমা সিকারী (৪৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলিমার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মোঃ জসিম।

তিনি জানান, বিয়ে অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে আটটার সময় সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের মধ্য ধরান্দি গ্রামে সিকারী ও রায় পরিবারের মধ্যে মারামারিতে নিলিমা সিকারী গুরুতর আহত হলে তাৎক্ষনিক তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর বিকাল ৩টার দিকে তিনি (নিলিমা) মারা যান।

মৃত নিলিমা সিকারী ওই এলাকার সুনীল সিকারীর স্ত্রী।

ধরান্দি এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ মনির হোসেন জানান, ৭/৮দিন আগে নিলিমার স্বামী সুনীলকে তার নাতনির বিয়ের দাওয়াত না দেয়ার কারণ জানতে চায় পাশের বাড়ীর রনজিত রায়। তখন তাদের দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

এর রেশ ধরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রায় পরিবারের রনজিত, জয়দেবসহ আরো ৫/৬জন সিকারী বাড়ীতে গিয়ে সুনীলকে খুজতে থাকে। এসময় বাড়ীর উঠানে বসে সুনীলের ছেলে সুমিতের সাথে জয়দেব ও রনজিতদের মারামারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সিকারী বাড়ীর লোকজন সবাই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এসময় অসুস্থ্য নিলিমা ঝগড়া থামাতে গেলে রায় পরিবারের লোকজনের লাঠির আঘাতে নিলিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সবুজ মিয়া জানান, লোকমুখে শুনেছি রায় এবং সিকারী পরিবারের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে এতে নিলিমা নামের একজন মারা গেছে। ঘটনার সময় নিলিমার অপর ছেলে বিপ্লব সিকারী তার মায়ের জন্য পাশের বাজারে ঔষধ আনতে গিয়েছিল বলেও জানান ইউপি সদস্য সবুজ।

নিহতের ছেলে সুমিত সিকারী জানান, ৭/৮দিন আগে আমার শালী দোলার বিয়ে হয় কলাপাড়া উপজেলায়। অনুষ্ঠান শেষে বাবার সাথে বিয়ের দাওয়াত নিয়ে রায় পরিবারের রনজিতের নানা ধরনের কথা হয়। এক পর্যায়ে রনজিদ রায় আমার শালীকে নিয়ে নানা ধরনের কটুক্তিও করে। এ ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রবাভিত করতে তখন থেকেই রায় পরিবারের লোকজন উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল। 

আজ সকালে কিছু বুজে ওঠার আগেই রনজিত, জয়দেবসহ আরো ১০/১২জন লোক এসে হঠাৎ আমাদের পরিবারের উপর আক্রমন চালায়। এসময় আমার মা আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর বিকালে সে মারা যায়।

এ ব্যপারে রায় পরিবারের রনজিত ও জয়দেবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সদর থানার ওসি মোঃ জসিম আরো জানান, লাশ পোষ্ট মর্টেমের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে যারা জড়িত ছিল তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত