সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষুদ্ধ হয়ে লক্ষ্মীপুরে মো. হাসান নামে টক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদি জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বাবুল।
হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ সাংবাদিক হাসানসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের। এতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে সাংবাদিকদের মাঝে। মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাছান দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার চন্দ্রগঞ্জ থানা প্রতিনিধি ও অনলাইন পোর্টাল মুক্তিকন্ঠ’র বার্তা সম্পাদক এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দেওপাড়া গ্রামের মৃত জালাল আহাম্মদের ছেলে।
লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্বাছ হোসেন এবং লক্ষ্মীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন উল্যাহসহ অন্য সাংবাদিকদেরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা ছৈয়দ আহাম্মদের প্রবাসী পুত্র মো. ফয়সালের মালিকানাধীন কোটি টাকা মূল্যের জমি একই গ্রামের নজির আহাম্মদের পুত্র নুরুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে গত ৬ মে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা জমির মালিক ফয়সালের বড়ভাই হারুনুর রশিদকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় হারুনুর রশিদ বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজতে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মো. হাছান তার পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করেন।
পরে আসামিরা জামিনে এসে পুনরায় গত ৮ জুন রাতে ভাড়াটিয়া লোকজনকে সাথে করে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা চালায়। জমি দখলের জন্য আসামী ইব্রাহিম খলিল জহির সন্ত্রাসীদের ভাড়া করার একটি অডিও ক্লিপ সাংবাদিক হাছান তার নিউজ পোর্টালে প্রকাশ করে।
এতে জবর দখলকারিরা তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। গত সোমবার (১০ জুন) নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে সাংবাদিক হাছান সহ জমির মালিক ফয়সালের বড় ভাই হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে সাংবাদিক হাসানকে অভিযুক্ত করা হয়।
সাংবাদিক হাসান বলেন, এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার রাতে আমি আমার বাড়িতে ছিলাম। কিন্তু আমি নাকি জমি দখল করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা একেবারে ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক।
তিনি বলেন, আমি প্রকৃত ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।