মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫ ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ৮ জুলাই ২০২৫
নন্দীগ্রামে গভীর নলকূপ মালিকের গাফিলতিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪, ২:৪৭ PM আপডেট: ২৪.০৬.২০২৪ ২:৫২ PM
বগুড়ার নন্দীগ্রামে একটি মালিকানাধীন গভীর নলকূপ মালিকের সেচ ব্যবস্থার গাফিলতির কারণে ওই মালিকের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গ্রামের শত শত কৃষক। ওই গ্রামের ভুক্তভোগী সকল কৃষকরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছে। উক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের সিধইল গ্রামে ১০/১৫ বছর পূর্বে লাইসেন্স গ্রহণের মাধ্যমে ২টি গভীর নলকুপ স্থাপন করেন সিধইল গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম। গ্রামবাসীর বক্তব্য, ২টি গভীর নলকুপ স্থাপন করলেও ১টি গভীর নলকুপে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি শুধু মাত্র বোরিং অবস্থায় পরিত্যাক্ত রেখে ১টি গভীর নলকুপের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আসছে। এদিকে ২টি গভীর নলকুপের আওতায় রয়েছে প্রায় ৬/৭ শত বিঘা আবাদি জমি।

১টি গভীর নলকুপের মাধ্যমে সময় মত সেচ দিতে না পারায় ফসল উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। এছাড়াও কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করলেই জমিতে পানি না দিয়ে জমি পতিত রাখতে বাধ্য করছে বলেও তারা জানান। শুধুমাত্র সেচের কারনে চলতি বছরে কৃষকদের  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এসব ঘটনায় কৃষকদের বাঁচাতে পরিত্যক্ত গভীর নলকুপটির লাইসেন্স বাতিল করে গ্রামের মসজিদ কমিটির নামে নতুন করে লাইসেন্স করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ ও আবেদন করেন গ্রামবাসী। 

গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বিএডিসি অফিসার ও উক্ত ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামকে তদন্ত করার  দায়িত্ব দেন। জানতে চাইলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসী অভিযোগে বলেছেন  ঠিকমত সেচ না দেওয়ার কারণে প্রতি বিঘাই ৩/৪ মন করে ধান কম হয়েছে। 

তবে সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দেখা যায় সেসময় ধান কাটা শেষ হয়েছিল। যার কারণে ক্ষতিপুরুন নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে রফিকুল ইসলামের পিতা ইসমাইল হোসাইনের সাথে যোগাযোগ কররে তিনি জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য বার বার অফিসে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে কৃষকদের ক্ষতি সম্পর্কে  তিনি আরোও বলেন, জমিতে পানি মোটামোটি ভাবে দেওয়া হয়েছ তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।

উক্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, গ্রামবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করা হয়েছে এবং  রফিকুল ইসলাম লাইসেন্স গ্রহণ করার পরেও কোন বিদ্যুৎ সংযোগ না নেওয়ায় তাকে শোকজ করা হয়েছে তবে গ্রামবাসী উভয়পক্ষরা এখন শান্ত রয়েছে।

বাবু/এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত