বগুড়ার নন্দীগ্রামে কাথম-কালিগঞ্জ রোডে সিএনজি-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে বড় বোন যুথীর মৃত্যুর ৮ঘন্টা পর শনিবার রাত ১টার দিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ছোট ভাই জিহাদ।
মৃত যুথী খাতুন ও জিহাদ হোসেন উপজেলার ভাগ শিমলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে-মেয়ে। শিমলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি কবরে শায়িত করা হয়েছে বড় বোন যুথী ও ছোট ভাই জিহাদকে।
রবিবার (৩০জুন) বাদ যোহর পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। দুই ভাই বোনের মৃত্যুতে ওই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সিএনজি-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে যুথী ও জিহাদ মারা গেলেও অলৌকিক ভাবে সুস্থ রয়েছে যুথীর তিন দিনের কন্যা সন্তান। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন যুথীর মা জেসমিন বেগম (৪৫)।
জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে গত তিনদিন আগে যুথী খাতুন সন্তান প্রসব করে। গত শনিবার বিকেলে যুথী খাতুন তার মা জেসমিন (৪৫) ও ছোট ভাই জিহাদের (১৭) সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে নন্দীগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে দলগাছা এলাকায় পৌছিলে বিপরীত মুখি একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে দুইটি অটোরিকশাই উল্টে একই পরিবারের তিনজন আহত হলে তিনদিনের সন্তান অক্ষত থাকে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক যুথি খাতুনকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিহাদ মারা যায়।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। যুথী খাতুন ও তার ভাই জিহাদ মারা গেছেন। তবে তিনদিনের কন্যা সন্তান সুস্থ ও ভালো রয়েছে।