রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)'র অভিযানে আমেরিকায় পাঠানোর নামে অসহায় মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক প্রতারক খাঁন হুমায়ুন কবিরকে ডিবি'র অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজবাড়ী ডিবি'র ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান খান জানান, ১জুলাই বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ডিবি'র একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জেলা সদর থানাধীন ভবানীপুর সাকিনস্থ রাজবাড়ী অফিসার্স ক্লাবের দক্ষিন-পূর্ব কোনা থেকে প্রতারক খাঁন হুমায়ুন কবির (৪৭)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার জয়নগর ইউনিয়নের মৃত শামসুল হক খাঁনের ছেলে। তার মায়ে'র নাম মৃত রানু বেগম ।
এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ভূয়া জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, টিন সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ বিভিন্ন ভূয়া ডকুমেন্ট সহ আটক করা হয়।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরি করিত। ২০১০ সালে তার চাকুরি চলে যায়। চাকুরি চলে যাওয়ার পরে সে আর বাড়ীতে যায় নাই। বাড়ীতে তার স্ত্রী সন্তান রহিয়াছে। সে ঢাকায় গিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে কৌশলে তার জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, টিন সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ বিভিন্ন ভূয়া ডকুমেন্ট তৈরী করে।
আসামী খাঁন হুমায়ুন কবির (৪৭) তার প্রকৃত নাম-ঠিকানা গোপন রেখে মোঃ বাহেজ উদ্দিন এর ঠিকানা ব্যবহার করে তার রুপনগরে থাকা কালীন সময়ে এবং পরবর্তীতে রাজবাড়ী জেলার বানীবহ এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্যের সন্নিবেশ ঘটিয়ে জাল জাতীয় পরিচয় পত্র এবং মিথ্যা জন্ম সনদ সহ বিভিন্ন দলিল পত্র প্রস্তুত করে, এবং সেগুলো খাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে গ্রামের বিভিন্ন সহজ সরল মানুষের বিশ্বাস অর্জন করিয়া তাদের কাছ থেকে প্রতারণা মূলক ভাবে আমেরিকা পাঠানোর কথা বলে নগদ তের লক্ষ টাকা গ্রহন করে আত্মসাৎ করে।
বাণীবহ এলাকার আলী হোসেন বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন। মামলায় আসামী জামিনে এসে ভুক্তভোগীদের নামে একের পর এক মামলা করা শুরু করে। আসামি মিথ্যা নাম ঠিকানা দিয়ে রাজবাড়ী আদালতে এরকম এগারটি মামলা করে। শুধু তাই নয় আসামি তাহার প্রথম স্ত্রী পাপিয়াকে তালাকপ্রাপ্ত দেখিয়ে বাণীবহ এলাকায় রেখা খানম নামে একটি মেয়েকে বিবাহ করে। মূলত তাহার প্রথম স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত নন বলে জানা যায়।