নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ১৮ জুলাই এর ধ্বংসযজ্ঞ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়। এটা ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এটা ছিল দেশকে নৈরাজ্য ও অকার্যকর রাষ্ট্র বানানোর নীল নকশা আর এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল জামাত-বিএনপি ও ইউনুস গংরা।
শনিবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টায় দিনাজপুর বাসুনিয়াপট্টিস্থ জেলা আওয়ামী লীগ এবং পৌর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস দুস্কৃতকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় পরিদর্শন শেষে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি একথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের লক্ষ্য বাংলাদেশ আজ আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে সেটাকে নামিয়ে দেয়া।
মন্ত্রী স্মরন করিয়ে দেন ২০০৯ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারী পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু হত্যা কান্ডের বিচার, মানবতা বিরোধী যে অপরাধ করেছে সেসব যুদ্ধাপরাধীরা তাদের বিচার কার্যকর পরিচালনার সময় তারা বাংলাদেশকে জ্বালিয়েছে, বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা আগুন সন্ত্রাস করে বাংলাদেশকে জ্বালিয়েছে।
২০১৫ সালে যখন ব্যর্থ হয়েছে, তারপর তারা ছাত্রদেরকে ব্যবহার শুরু করেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে এই স্বাধীনতা বিরোধীরা স্কুল ড্রেস বানিয়ে নিজের গায়ে দিয়ে তারা ছাত্র সেজে বাংলাদেশকে জ্বালানোর চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে কোটা বিরোধী আন্দোলনে তারা একইভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে কোটা প্রথা বন্ধ করে দিয়েছিল।
২০১৮ সালের সেই ঘটনার আবারও পুনরাবৃত্তি করে তারা ছাত্রদের ব্যবহার করে এই বাংলাদেশকে পুড়িয়ে দেওয়ার, জ্বালিয়ে দেয়ার, ধ্বংস করে দেয়ার এবং তলাবিহীন ঝুঁড়ি বানানোর মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল।
কাজেই এই ধ্বংসযজ্ঞ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, এটা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, আমার বিরুদ্ধে নয়, এটা হচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের সন্ত্রাসী, নৈরাজ্যকর কর্মকান্ড। এই কর্মকান্ডের সঙ্গে জামাত-বিএনপি ইউনুস গংরা সরাসরি জড়িত।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, ১৮ জুলাইয়ের হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তারা স্পষ্ট বলেছেন, এই হত্যাকান্ড ও সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ,লুটতরাজের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল জামাত-বিএনপি ও ইউনুস গংরা।
এসময় জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেলসহ জেলা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।