ময়মনসিংহের ভালুকায় মৃত জবেদা খাতুনকে বীরাঙ্গনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান তাঁর ছেলে মোঃ জামাল হোসেন।
ভালুকার মুক্তিযুদ্ধের সৃতিবিজরীত ৮নং ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আংগারগাড়ার বাসিন্দা জবেদা খাতুনের ছেলে মোঃ জামাল হোসেন তার মা জবেদা খাতুনের বীরাঙ্গনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির আবেদন ও মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্যে এসব জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,ভালুকা উপজেলার ৮নং ডাকাতিয়ার ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এলাহী মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহের আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফেজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম (মুহুরী), বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা হুরমুজ আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা ঠান্ডু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন পাঠান কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মাইনুদ্দিন প্রমুখ সহ স্থানীয় অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ওয়াহেদ লিখিত বক্তব্য/প্রত্যয়ন করেছেন ও বক্তব্য দিয়েছেন যে, মৃত জবেদা খাতুন একজন প্রকৃত ধর্ষিতা বীরাঙ্গনা মহিলা।
মৃত জবেদা খাতুনের বড় ছেলে জামাল হোসেন বলেন,আমি আমার মায়ের বীরঙ্গনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই। আমি গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর বীরাঙ্গনা হিসেবে গেজেট অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করি,যার আবেদন নং ৩৬৭১ (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩) কিন্তু এখন পর্যন্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক বীরাঙ্গনা হিসেবে যাচাই-বাছাইয়ের চিঠি ইস্যু করা হয়নি।
তাছাড়া তৎকালীন ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন বরাবর একটি আবেদন করলে, তিনি প্রাথমিক তদন্ত করে বীরাঙ্গনা হিসেবে সত্যতা পান এবং বীরাঙ্গনা অগ্রগতি-গেজেট অন্তর্ভুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করেন -যার স্মারক নং ০৫.৪৫.৬১১৩.০০১.৪২.০০২.২২-৬২৫ (১৭ জুলাই ২০২২ইং) এবং এর অনুলিপি প্রেরণ করেন জেলা প্রশাসক ,ময়মনসিংহ বরাবর কিন্তু আজও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক বীরঙ্গনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।আমার দাবি একটাই জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে আমার মায়ের বীরাঙ্গনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধান মন্ত্রীর কাছে জোর অনুরোধ করছি।