বুধবার ২ জুলাই ২০২৫ ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২ জুলাই ২০২৫
তোমরা ঐ ব’ন্দুকটা দিয়া আমার বুকটার ওপর একটা গু’লি করো
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৮:৫৯ PM
“তোমরা কি বন্দুক আনছো, হেইলে কও, ওই বন্দুকটা দিয়া আমার বুকটার ওপর একটা গুলি করো। আমি আমার বাবার লগে চইলে যাব”।

হাহাকার করে কাঁদতে কাঁদতে দতগুলো বলছিলেন গতকাল খুলনায় আন্দোলনকারী কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার শিকার পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী’র মা গীতা রানী ঘরামী। ছেলের মৃত্যুর খবর সইতে না পেরে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। প্রতিবেশি ও স্বজনেরা কিছুতেই সান্ত্বনা দিতে পারছেন না তাকে। সন্তান হারিয়ে সুমনের বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা সুশীল ঘরামী হয়ে পরেছেন বাকরুদ্ধ।

শুক্রবার (২ আগষ্ট) বিকালে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে খুলনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত হন পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী। আজ (০৩ আগষ্ট) সন্ধ্যায় পুলিশের গান সেলুটের মধ্যদিয়ে সমাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান।

বিকালে সুমন ঘরামীর মরদেহ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মালিপাটন গ্রামে পৌছালে স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। নিহত সুমন ঘরামীর ৬ বছরের মেয়ে স্নিগ্ধা ঘরামীর আর্তনাদে উপস্থিত লোকজন চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। সুমন ঘরামীকে সমাহিত করার সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে মলিপাটন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন।   

নিহত সুমন কুমার ঘরামী বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের মালিপাটন গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল কুমার ঘরামির ছেলে। নিহত সুমন তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে স্নিগ্ধা ঘরামীকে নিয়ে খুলনার পূজাখোলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তিনি খুলনা মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনারের (সোনাডাঙ্গা জোন) দেহরক্ষী ছিলেন।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত