বুধবার ২৫ জুন ২০২৫ ১১ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২৫ জুন ২০২৫
বাজার নিয়ন্ত্রনে আসছে না বলে ক্রেতাদের অভিযোগ
দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪, ৩:৩০ PM
খুলনার দাকোপে চাল,ডাল,পেঁয়াজ,রসুন,ভোজ্য তেল,মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্দ্ধগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। 

অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় সরগম হলেও প্রতিকার মিলছে না সাধারণ মানুষের। বছরের পর বছর একই ঘটনা ঘটে চলেছে। 

বর্তমানে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধি অতি দ্রুত আরো বাড়তে পারে বলে সাধারণ মানুষকে বিচলিত করে তুলছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রনে আসছে না বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। 

সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে ত্রেতাদের সঙে কথা বলে জানা গেছে,সমান্তরালভাবে এ সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বছরভর বেড়েই চলে। একটু একটু করে এমনভাবে বাড়ানো হয় যে নজরে আসে না। 

বিক্রেতারা কৌশলে দাম বাড়াতে থাকে। ফলে এক বছরেই ভোজ্য সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো সফলতা নেই। হোক রাজনৈতিক সরকার কিংবা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। 

অতিরিক্ত খরচে নাভিশ্বাস উঠলেও মানুষ এই জুলুম মেনে নিতে বাধ্য হয়। মূল্য বৃদ্ধির এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দেশে সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার ঐতিহ্য বহুকাল আগেই বিলীন। মূল্য বৃদ্ধি রোধে কখনো কখনো অভিযান-জরিমানা হলেও কাজের কাজ কিছু হয় না বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।

বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির কারণ দেখায় অতি বৃষ্টি, বন্যা, যানবাহন খরচ প্রভৃতি। বঙ্গোপসাগরের উপকূল তথা সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের আঘাতে জর্জরিত অধিকাংশ নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ এমনি দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।  

লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বর্তমানে বাজারে বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে চাউল ইরি আতপ প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মোটা ৮০ থেকে ৮৪ টাকা। চালনা বৌমার গাছতলা কাঁচা বাজারে পিয়াজের মূল্য ১২০, রসুন ২৪০, কাঁচা ঝাল ২৪০, আলু ৬০, বেগুণ ৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সোয়াবিন তেল ১ লিটারের বোতল ১৬৭ টাকা, সরিষার তেল ১৯০, মশুরি ডাল ১১৫,ময়দা ৭০, চিনি ১৩০ টাকা কেজি। চিংড়ি মাছ ৬০০, রুই ৩০০, তেলাপোয়া ২০০, পারসে ৪০০, টেংরা ৪০০, স্থানীয় নদীর ইলিশ ১৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিম ৪৮ থেকে ৫২ টাকা হালি, বয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০, গরু ৮৫০, খাসি ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা পানখালী এলাকার ফাল্গুনী হালদার জানান, সারাদিন মটর সাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে বাজারে গিয়ে চড়া দামে চাল ডাল তরিতরকারী কেনার পর আর মাছের পয়সা থাকছে না। বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। 

চালনা বৌমার গাছতলা বাজারের ব্যবসায়ী মানিক রায়, ইসলাম গাজীসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, বর্তমানে খুলনার কাঁচা বাজারের মোকাম থেকে বেশি দামে মাল কিনতে হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দরে মাল বিক্রি করতে হচ্ছে। 

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জুবায়ের জাহাঙ্গীর বলেন, অতি দ্রুত বাজার মনিটরিং শুরু করা হবে। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম বেশি নিলে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

                                                                                       
                                                                 
                                                                                                                                                                                                                                                                                    

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত