বন্যার্তদের দেওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী নোয়াখালীর কবিরহাটে ত্রাণ নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীদের ত্রাণের গাড়ি দলবল নিয়ে আটকে দেন এক বিএনপি নেতা। পরে তিনি ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ লুট করে নেন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে লুট হওয়া ত্রাণ উদ্ধার করে ছাত্রদের ফিরিয়ে দেয়। অভিযুক্ত এই বিএনপি নেতার নাম মো. একরাম। তিনি সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও কালামুন্সি বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. সৌরভ (১৮) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। আটক সৌরভ সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহের হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ দিতে যান। মঙ্গলবার সকাল থেকে কবিরহাটের কয়েকটি ইউনিয়নে তারা ত্রাণ বিতরণ করেন। বিকেলের দিকে সুন্দলপুরের কালামুন্সি বাজারের যান শিক্ষার্থীরা। এসময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরাম তার লোকজন দিয়ে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ গাড়ি থেকে নামিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটক করে রাখেন।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. একরাম
পরে শিক্ষার্থীরা কোনো উপায় না পেয়ে কবিরহাট থানায় অভিযোগ করেন। রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ত্রাণগুলো উদ্ধার করে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করে।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, বিএনপি নেতা একরামের অনুসারী ছাত্রদল নেতা সোহেলের নেতৃত্বে সৌরভ, রিফাত, নোমান, বাপ্পীসহ অনেকে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। আমরা তাদের বিচার চাই।
ত্রাণ দিতে যাওয়া শিক্ষার্থী হাসান মাহফুজ বলেন, ত্রাণ লুটে বাধা দেওয়ায় হামলাকারীরা মো. মাঈন উদ্দিন আকাশ (১৬) নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও নিহাদ (১৬) নামে আরেক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে। পরে সেনাবাহিনী-পুলিশ আমাদের অভিযোগ শুনে ত্রাণগুলো উদ্ধার করে দেয়। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।