বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫
কেশবপুরে ভারী বর্ষণ ও উজানের পানির চাপে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৪২ PM
যশোরের কেশবপুরে ভারী বর্ষণ ও উজানের পানির চাপে পৌর শহরে নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রাম ও বিল সমুহ ও ১৪৯ হেক্টর জমির সবজির ক্ষেত প্লাবিত হয়েগেছে।

কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়ক ও কেশবপুর-গৌরিঘোনা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি তলিয়ে গেছে। উঠতি আউশধানের ক্ষেত ও অসংখ্য মাছের ঘের পানির চাপে ভেসে গেছে। উপজেলার ১৪৪ গ্রামের মানুষের মাঝে বন্যা আতংক বিরাজ করছে। 

কেশবপুর উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে গত চারদিনে ভারী বর্ষণের ফলে ৩১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এরমধ্যে  সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ২৬ আগষ্ট ১৪০ মিলিমিটার ও ২৩ আগষ্ট ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

ভারী বর্ষণ ও উজানের পানির চাপে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির পাকা আউশধান ক্ষেত ও ১৪০ হেক্টর জমির সবজির ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের। 

বুড়িভদ্রা নদীর বায়সা মোড়ের কারিগরি ইনিস্টিউটের ভবন হতে মঙ্গলকোট ব্রীজ পযন্ত নদীর তীরে গ্রাম মজিতপুর, বাজিতপুর, সরফবাজ, মীর্জাপুর মঙ্গলকোট গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। 

গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া মহল্লার নিন্মাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। 

কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের টিনসেট ভবন ও সুজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া সদর ইউনিয়নের সুজাপুর, মধ্যকুল ও আলতাপোল গ্রামের তেইশমসইল অঞ্চল পযন্ত প্লাবিত হয়ে গেছে। উজানের পানির চাপ অব্যহত থাকলে খুব অল্প দিনের মধ্যে উপজেলার বহু গ্রাম পানিতে ডুবে যাবে।

 উপজেলা পানি উন্নয়ন বোডের গাফিলতির কারণে শুষ্ক মৌসুমে নদী খনন না করার করার করণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে উপজেলার কপোতাক্ষ নদ, পৌর শহরের হরিহর নদী, বুড়িভদ্রা নদীর ও শ্রীহরিনদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে। এসকল নদ-নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে যাওয়ার কারণে নাব্যতা হারিয়েগেছে। 

উজানের পানির চাপে নদ-নদীর পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে খুব শীঘ্রই কেশবপুর উপজেলাটি বন্যায় প্লাবিত হয়ে যাবে বলে সকলে আশংকা করছেন। যেন কেশবপুর বাসীকে বন্যা ও জলাবদ্ধতা হাতছানি দিচ্ছে। বিশেষ করে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের সাতিয়ান তলা থেকে আলতাপোল তেইশ মাইল পযন্ত সড়কের পূর্বপার্শে পৌর শহর ও গ্রামগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। 

এদিকে কেশবপুর পৌর শহরের  হরিহর নদীর হাবিবগজ্ঞ ব্রীজ থেকে শহরের পালপাড়ার মধ্যে বিভিন্ন আবাসিক এলাকা এবং শহরের কাঁচা তরকারির বাজার, মাছের বাজার, হলুদ, ও গুড়ের বাজার এবং ধান পাটের পাইকারি ও খুচরা বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। খাঁন চানাচুর ভাজার কারখানা,খাঁন হলুদের মিল, সানফ্লাওয়ার মিলস্ ও আলম বিশ্বাসের বরফের কারখানা এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। 

কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোডের উপ-প্রকৌসুলী সুমন শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা করতে বুড়িভদ্রা ও হরিহর নদী খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সময়ে না হওয়ার কারণে তা খনন করা সম্ভব হয়নি।

কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যপক আলাউদ্দিন আলা বলেন, বন্যায় সদর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। 

সুজাপুর, মধ্যকুল, আলতাপোল গ্রাম ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি তলিয়ে গেছে। যার কারণে গত দুই দিন ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তুহিন হোসেন যদি সুযোগ দেন তাহলে পৌর ভবনের সামনে সাবেক ইউপি কার্যালয়ের একটি রুম নিয়ে আপাতত পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি। 






        

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত