বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ৩ মাঘ ১৪৩১
বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
৩ শিক্ষকের নামে মিথ্যা অপবাদে উত্তপ্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৩২ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তিন শিক্ষকের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপবাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন স্থানে নয় জন শিক্ষকের নাম ও ছবিসহ একটি তালিকার ব্যানার দেখা যায়। 

এতে লেখা ছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সাথে জড়িত, জুলাইয়ের গণহত্যার সমর্থনকারী এবং আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের একাংশ যাদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও তাদেরকে ক্লাস থেকে বয়কট করা হলো। 

তারা হলেন, ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, সহকারী প্রক্টর মিঠুন বৈরাগী, খালেদা জিয়া হলের সাবেক প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো: শহিদুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের মো: সাজ্জাদ হোসাইন জাহিদ এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের তন্ময় সাহা জয়।

এরমধ্যে ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর মিঠুন বৈরাগী ইংরেজি বিভাগের মো: সাজ্জাদ হোসাইন জাহিদ এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের তন্ময় সাহা জয়কে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তারা আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন বলে জানা যায়। পরে এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিবাদ জানাতে থাকা শিক্ষার্থীরা।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক তন্ময় সাহা জয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপবাদ দেওয়ার  প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

এবিষয়ে কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ হিমেল বলেন,"আমাদের তন্ময় স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে এটা সম্পূর্ণ কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের কাজ।আমরা সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম আন্দোলনে। স্যার ও আমাদের সমর্থনে বিভিন্নভাবে অনলাইনে অংশগ্রহণ করেছিলো।যারা এই ষড়যন্ত্রের পিছনে আছে তাদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানাই।"

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের  ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগীকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।  

একইদিনের সকালে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের শিক্ষক মো: সাজ্জাদ হোসাইন জাহিদ নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেওয়ার প্রতিবাদে ব্যানারে তার নাম ও ছবি মুছে ফেলে প্রতিবাদ জানান।

এদিকে এঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে লাগানো সকল ব্যানার ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলে প্রতিবাদ জানান তারা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক পরিষদ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান উল্লেখ করে শিক্ষকদের নামে বানানো ব্যানার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা এই কাজ ব্যক্তিগত ক্ষোভ কিংবা যে জন্যই করেছেন তাদেরকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তারা। 

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত