আগামী নির্বাচনে সব আসনে গণঅধিকার পরিষদ একক প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধন পাওয়ায় রাজধানীর চকবাজারে শুভেচ্ছা মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, গণঅধিকার পরিষদ কোনো চাঁদাবাজি ও দখলদারি সমর্থন করে না। আমরা সবাইকে নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। গণঅধিকার পরিষদ আগামী সব সংসদীয় আসন এককভাবে প্রার্থী দেবে।
শেখ হাসিনার নামে মাত্র ২০০ মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নামে অন্তত হাজার খানেক মামলা হওয়া উচিত। এখনও যেসব পরিবার মামলা করেননি তারা থানায় গিয়ে মামলা করুন।
আবু হানিফ বলেন, সেনাপ্রধান বলেছিল ৬০০-এর বেশি লোককে তারা নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের কত জনের নামে মামলা হয়েছিল এবং কত জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে সেই তালিকাও গণমাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। সেটি না করলে সেনাপ্রধানের পদত্যাগের দাবিতে জনগণ রাজপথে নামবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। শান্ত পাহাড়কে অস্থিতিশীল করতে আওয়ামী লীগ ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা ষড়যন্ত্র করার পায়তারা করছে। তারা শান্ত পাহাড়কে রক্তাক্ত করার চেষ্টা করছে।
বিশৃঙ্খলা করলে সরকার কাউকে ছাড় দেবে না জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের এই সদস্য বলেন, কোথাও কেউ বিশৃঙ্খলা করলে কিংবা অপরাধ করলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন। গণঅধিকার পরিষদ কোনো মব জাস্টিস কিংবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকে সমর্থন করে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিপ্লবের দেড়মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়নি। জনগণ কিন্তু বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।