বুধবার ২ জুলাই ২০২৫ ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২ জুলাই ২০২৫
রংপুরের নদীতে ধরা পড়েছে সাড়ে ৩শ’ টন ইলিশ
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:৫০ PM
রংপুরে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদীগুলোর  রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীগুলো মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এ বছর তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদী থেকে সাড়ে ৩০০ টন ইলিশ পাওয়া গেছে।  দুই বছর আগে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টন।

এক সময় ইলিশ বলতে মনে করা হতো, এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মাছ। কিন্তু এখন রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ধরা পড়ছে ইলিশ। উত্তরের নদীগুলোতে ইলিশ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে এরইমধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মৎস বিভাগ।

আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের মতো ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে এই অঞ্চলেও। এসময় জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেযার পাশাপাশি নগদ টাকাও দেয়া হবে।

নিষিদ্ধ সময়ে এই অঞ্চলে ইলিশ ধরা বন্ধ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা জুবায়ের আলী বলেন, ‘ইলিশ মূলত সাগরের মাছ। যেসব নদীর সাথে সাগরের যোগ আছে, সেই সব নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘রংপুর অঞ্চলে বর্ষাকালে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র খরস্রোতা হয়ে থাকে, তাই ওই সময় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রে ইলিশ পাওয়া যায়। সাগর থেকে ইলিশ আসে ডিম পাড়তে। এই অঞ্চলে ইলিশের আগমন ঘটাতে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। নদীগুলোকে খরস্রোতা করতে পারলেই দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানকার নদীতেও ইলিশ পাওয়া যাবে।’

তবে এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং স্থানীয় জনগণ ও মাছ ধরা জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন সাবেক এই মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা।

রংপুর মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, এক বছরে প্রায় সাড়ে ৩০০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে এই অঞ্চলে। সরকারের ইলিশ নিধন বন্ধ কার্যক্রমের আওতায় এই অঞ্চলের জেলেদেরও প্রণোদনা দেয়া হয়।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত