বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
‘দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ তার স্ব-মহিমায় ফিরে আসবে’
বুলেটিন ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৩৬ PM আপডেট: ০৪.১০.২০২৪ ২:৩২ PM
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ নানান অভিযোগে সারা দেশে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে দলটির নেতাদের। এর আগে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। 

গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পোস্টে লেখা হয়, ‘আওয়ামী লীগ কর্মীদের গ্রেপ্তারের আগে বিএনপির নামকরা সন্ত্রাসী, যারা থানা লুট করেছে, যারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে তাদের গ্রেপ্তার করুন।’ 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলা হয়, ‘মনে রাখবেন, এই লুটেরা জঙ্গি গডফাদাররাই সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে নামবে। যা তারা করছে ঢাকা শহরের আশপাশে ও পার্বত্য চট্টগ্রামে। আর গ্রেপ্তার হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে অবৈধ ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগ নিধনেই বেশি ব্যস্ত।’

এতে বলা হয়, ‘যদি মনে করেন নির্যাতন করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেবেন, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আমাদের শিকড় অনেক গভীরে, এই দেশের জন্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ তার স্বমহিমায় ফিরে আসবে, দেশের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে  প্রতিষ্ঠিত করবে।’ 

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অপরাধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছিল দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কেউ যদি অপরাধী হয়, দেশের আইন অনুযায়ী এর বিচার হোক। আমাদের সরকারও দলীয় অনেক অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছিল। সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সারা দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা তৈরি করেছিলাম।’ 

পোস্টে বলা হয়, ‘এই সরকার মিডিয়া অফিস দখলে ইতিমধ্যে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এই পর্যন্ত সারা দেশে দেড় শতাধিক সাংবাদিকের নামে হত্যা মামলা দিয়েছে। তিন শতাধিক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে। এরাই আবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় কথা বলে।’ 
 
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি ড. ইউনূস  বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসেট বাটন দিয়ে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলছেন। যা খুবই আপত্তিজনক এবং নিন্দনীয়। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য যতই রিসেট দেন না কেন, দেশের মৌলিক ও অস্তিত্বের ইতিহাসগুলো মোছার ক্ষমতা ওনার নাই। মুছতে পারলে তো বাংলাদেশই থাকবে না।’ 

এতে দেশবাসীর উদ্দেশে বলা হয়, ‘দেশের সার্বিক অবস্থা সবার মাঝে এক সংকটময়, অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন ইনশা আল্লাহ। আপনারা সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন।’ 
 
সাম্প্রতিক সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে পোস্টে বলা হয়, ‘সবই করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে, স্থিতিশীলতা রক্ষার নামে বাইরের কোনো দেশকে বাংলাদেশে ঘাঁটি তৈরির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।’

আন্দোলন দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ ছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্য উল্লেখ করে বিবৃতে বলা হয়, এ থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, এটা ছাত্রদের কোটার আন্দোলন ছিল না। তাই সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও তারা পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে অরাজকতা চালিয়েছে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি দেখে আপনারাও নিশ্চয় এখন অনুধাবন করতে পারছেন। 

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারত যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে পোস্টে বলা হয়, ‘এখন হয়তো সবকিছু অনুধাবন করতে পারছেন, কী পরিস্থিতিতে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা আরও লাশ চেয়েছিলে। তিনি চাননি আর কোনো বাবা-মায়ের বুক খালি হোক। তাই সময়ের প্রয়োজনে এই সাময়িক পদক্ষেপ নিয়েছেন।’ 

৫ আগস্ট পরবর্তী জাতীয় সংসদ ভবন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, থানায় ‘হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের’ কথা তুলে ধরে বিবৃতি বলা হয়, ‘তখন সরকার আরও কঠোর হলে হয়তো আরও লাশ পড়ত, আরও অনেক বাবা-মায়ের বুক খালি হতো। তাই মানুষের জানমাল রক্ষায় শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত