গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় এক পোশাকশ্রমিক ও অপর এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। কালীগঞ্জ ও শ্রীপুর উপজেলায় এই দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন, জাহিদুল ইসলাম শ্যামল ও আবু সাঈদ।
শ্যামল কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের মোক্তারপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। পোশাকশ্রমিক আবু সাঈদ নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি মাওনা এলাকায় ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
কালীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই এমদাদুল ইসলাম বলেন, গতরাতে মোক্তারপুর মধ্যপাড়া গ্রামে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে আমাদের থানা পুলিশকে বার্তা পাঠানো হবে, পরে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহ এখনো গাজীপুরে রয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি অনুষ্ঠানে অতিথিদের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত শ্যামল দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, শুনেছি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। একজন আহত হয়েছিলেন, পরে হাসপাতালে মারা গেছেন। আমরা বসে আছি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
অপরদিকে, গত রাত ১২টার দিকে শ্রীপুর থানার মাওনা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের এশিয়া কম্পোজিট কারখানা সংলগ্ন মেঘনা গেইটের সামনে আবু সাঈদকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
শ্রীপুর থানার এসআই রিগান মোল্লা জানান, এক পোশাকশ্রমিককে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সে মেঘনা পোশাক কারখানার শ্রমিক। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।