রাজশাহীর সারদায় ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার রাতেই তিনি পুলিশ একাডেমি পৌঁছান এবং সেখানেই রাত্রিযাপন করেন। সকালে প্যারেড গ্রাউন্ডে তার প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণের কথা ছিল।
আগের রাতে সকালের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত করার কথা জানানো হয়। ‘অনিবার্য কারণবশতথ কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। অনিবার্য কারণ কী তা স্পষ্ট করা হয়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও।
তাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শনিবার রাতে সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের কথা ফেসবুকে জানান সালাউদ্দিন আম্মার।
আমন্ত্রণপত্রের ছবিতে লাল ক্রস এঁকে দিয়ে এর ক্যাপশনে সালাউদ্দিন আম্মার লেখেন, ‘দাওয়াতটা স্বজ্ঞানে প্রত্যাখ্যান করছি! কারণ, এই ৬২জন এএসপি হাসিনার আমলে নির্বাচিত হইছে। আর কত চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিসিএস (পুলিশ)-এ নিয়োগ হতো তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ব্যক্তি আমার জায়গা থেকে তাই উক্ত প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার পক্ষপাতী নই। তাদের ব্যাপারে তদন্ত হয়েছে কি না!থ তিনি লেখেন, কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই আওয়ামী লীগের দোসরদের এএসপি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভাইদের মৃত্যুর মিছিল এখনো চলছেই।
এমতাবস্থায় এই দোসরদের নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া মানে শহিদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা। তাই আমি উক্ত অনুষ্ঠানের একজন আমন্ত্রিত অতিথি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক হিসেবে এই অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করলাম।