নানা কর্মসূচিসহ "প্রার্থনার প্রেরনা ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’' যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বাস করে এই মূলসুরের উপর ভিত্তি করে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর) শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শুরু হচ্ছে দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম দুই দিনব্যাপী ২৬তম বার্ষিক ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব।
বিদেশী খ্রিস্টভক্তসহ এ উৎসবটিতে সারাদেশের খ্রিস্টান ধর্মের শিশুসহ নারী-পুরুষগণ অংশ গ্রহণ করবেন।
তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী রেভান্টে ফাদার তরুণ বনোয়ারী এসাংবাদিককে বলেন, ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলার বারমারী সাধু লিও'র খ্রিস্ট ধর্মপল্লীতে বিগত ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরনে এই তীর্থ স্থানটি সাজানো হয়। দেশের রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের তীর্থযাত্রা উৎসবটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর হাজার হাজার খ্রিস্ট ভক্তরা এখানে সমবেত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন মূলসুরের উপর বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালন করে থাকে।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উপাসনা করার জন্য এখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ ফুট উচু দেশের সব চেয়ে বড় মা মারিয়ার মুর্তি। এখানে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার ২দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়।
এবছর জাকজমক ভাবে বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান। এ উৎসবে পাপস্বীকার, মহাখ্রিস্টযাগ, মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময়, ধর্মিয় আলোচনা, নিশিজাগরণ ও জীবন্তক্রশের পথসহ নানা অনুষ্ঠান পালন করা হবে।
বারমারী ধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি ও সাবেক ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিনজা এসাংবাদিককে বলেন, এবারের র্তীথ উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বনানীর মেজর সেমিনারীর প্রাক্তন রেক্টর রেভারেন্ট ফাদার গাব্রেল কোরাইয়া।
এতে পুরোহিত হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিকার জেনারেল রেভারেন্ট ফাদার সিমন হাচ্চা।
এব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন বলেন, এবার তীর্থ উৎসবে প্রায় দেশীবিদেশীসহ ৪০/৫০ হাজার তীর্থ যাত্রী নারী-পুরুষের আগমন ঘটবে। উৎসবের নিরাপত্তা প্রদানে এখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদল নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া তীর্থস্থান এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে উৎসবের সার্বিক কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা হবে।
সরকারী ভাবে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তীর্থ উৎসবে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। নানা কর্মসুচীতে টানা ২দিনব্যাপী শান্তিপুর্ন ভাবে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মাধ্যমে খ্রিস্ট ভক্তদের বৃহৎ ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব সমাপ্ত হবে।