নীলফামারীতে দুর্গাপূজা মন্ডপের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সদর উপজেলার ২৬৪ মন্ডপে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। মন্ডপ প্রতি ২৭৫০ টাকা দর নির্ধারণ করে ৭ লক্ষ ২৬ হাজার নির্ধারণ করা হলেও ৬৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে সনাতনীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সিসিটিভি ক্যামেরা সাপ্লায়ার অপু কুণ্ডু জানান, ২৬৪ মন্দিরের জন্য (যাতায়াত ও ফিটিং) সহ ২৭৫০ টাকা দরে দাম ঠিক হয়েছে। যার মোট মূল্য ৭ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা সেটাও পুরোটা পরিশোধ করেনি। এখনো আমি কিছু টাকা পাবো তাদের কাছে।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীমাতা মন্দির এর সাধারন সম্পাদক তাপস সাহা জানান, উপজেলা থেকে বলা হয়েছিল চালের টাকা থেকে ২৭৫০ টাকা কাটা হবে। কিন্তু দেখলাম ৩০০০ টাকা কাটা হয়েছে।
মিলনপল্লী সার্বজনীন দূর্গা মন্ডপ এর সাধারণ সম্পাদক রতন দাস জানান, চালের দাম ছিল ২০ হাজার টাকা, সিসিটিভি ক্যামেরা বাবদ ৩ হাজার টাকা কেটে নিয়েছে।
ইটাখোলা কালিতলা দূর্গা মন্ডপ এর সাধারণ সম্পাদক কাজল রায় বলে্ উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রাপ্ত চাউলের দাম ২০ হাজার টাকা সিসি ক্যামেরা ফিটিংসহ। সেখান থেকে কাটার কথা ২৭৫০ টাকা, কিন্তু তারা ৩০০০ টাকা কেটেছে ।
জাতীয় হিন্দু মহাজোট নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি জুয়েল রায় জানান, এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি সামাজিক সংগঠন করি। রিন্টু গুহ বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন করেন, আপনারা তার সাথে যোগাযোগ করেন, তিনি ভাল বলতে পারবেন বিষয়টি।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এর আহ্বায়ক প্রবীর গুহ রিন্টু বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাধ্যতামূলক সিসি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। টাকা নেওয়াও হয়েছে, অতিরিক্ত দু'একশ টাকা বেশি নিতে পারে।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আশরাফুল হক জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা বিতরণে স্বচ্ছতার জন্য উপকমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ২৭৫০ টাকা নির্ধারণ ছিল, কেউ যদি অতিরিক্ত কিছু করে থাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।