যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ট্রাম্প তার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেছেন জেডি ভ্যান্সকে, যিনি বর্তমানে ওহাইও রাজ্যের সিনেটর।
ট্রাম্পের জয়ের পর জনমনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ভ্যান্সকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে।
ভ্যান্সের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবন
জেডি ভ্যান্স জন্ম নেন ওহাইওর মিডলটাউন শহরে। জেমস ডোনাল্ড বোম্যান নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ও মায়ের মাদকাশক্তের কারণে তার শৈশব ছিল কঠিন। তার নানা-নানি তাকে দত্তক নিয়ে বড় করেন, যা তার জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
ভ্যান্স, মিডলটন হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর মার্কিন মেরিন কর্পসে যোগ দেন এবং পরে ইরাকে মোতায়েন হন। তার পরবর্তী শিক্ষা জীবন কাটে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ইয়েল ল স্কুলে। এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
হিলবিলি এলেজি এবং রাজনীতিতে প্রবেশ
তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘হিলবিলি এলেজি’ তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। বইটি আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষের জীবনের চিত্র তুলে ধরেছিল। এই বইয়ের মাধ্যমে তিনি নিজেকে লেখক ও ভাষ্যকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
এককালে ট্রাম্পের ‘কড়া সমালোচক’ হিসাবে পরিচিত ভ্যান্স সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় পরবর্তী রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন।
রাজনৈতিক দিক থেকে জেডি ভ্যান্স
২০২২ সালে ওহাইও থেকে রিপাবলিকান সেনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন ভ্যান্স। তার রাজনীতির মূল দৃষ্টি ছিল অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ এবং কনজারভেটিভ আদর্শের পক্ষে। ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা, অভিবাসননীতি এবং চীন সম্পর্কে তার কঠোর মনোভাব তাকে বেশ জনপ্রিয় করে তোলে।
গাজা এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ বিষয়ে তিনি বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, যা তাকে আরো বেশি শিরোনামে নিয়ে আসে। ভ্যান্স বলেন, আমেরিকান গণতন্ত্রের জন্য আসল হুমকি হলো অভিবাসন বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক এলিটদের চূড়ান্ত অবহেলা।
ভ্যান্সের ভারতীয় সম্পর্ক
ভ্যান্সের স্ত্রী ঊষা চিলুকুরি ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে- ইভান, বিবেক ও মিরাবেল।