বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
শাহীনকে ধরে ফেলেও ছেড়ে দিলো পুলিশ
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:১৯ PM
এজাহারনামীয় আসামি শাহীন আহমদকে (৪২) গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে (এসএমপি) তোলপাড় চলছে।  

শুক্রবার রাতের প্রথম প্রহর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের খুলিয়াটুলার বাসা থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাফিন আহমদ, এসআই ফখরুল ইসলাম ও আব্দুল মুকিতসহ পোশাকে-সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।  

শাহীন আহমদ সিলেট নগরের খুলিয়াটুলা নিলিমা ৫২/৪ বাসার মৃত মুজাহিদ আলীর ছেলে। গত ৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক ও হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারনামীয় ১৮ নম্বর আসামি তিনি। শাহীন সিলেটে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মামলায় তাকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, পোশাকে ৩ জন ও সাদা পোশাকে ২ জন পুলিশ নীল লুঙ্গি ও শার্ট পরা শাহীনকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় পেছন থেকে আরেকজন লোক পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে লুঙ্গি পরা একজন এবং পেছনে লাল গেঞ্জি পরা আরেকজন পুলিশের পেছনে ছুটে যাচ্ছেন।

আরেকটি সিসি ফুটেজে দেখা যায়, সাদা পোশাকে ৩ জন এবং পোশাকে একজন পুলিশের পাশাপাশি শাহীন লুঙ্গি পরা অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। অন্য একটি ফুটেজে হাতে লাল ফাইল থাকা সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য ছেড়ে দেওয়া আসামি শাহীনকে একা নিয়ে তার বাসার দিকে যাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক ও ওসি তদন্ত আকবর হোসেনের নির্দেশনায় স্থানীয় এক সোর্সের মাধ্যমে শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে এসআই ফখরুলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান সোর্স হিসেবে ব্যবহৃত ব্যক্তি।  

সোর্স তাদের বলেন, ‘আপনারা যদি তাকে ধরে ছেড়ে দেবেন, তাহলে ধরলেন কেন?’ তখন এসআই ফখরুল অনুনয় বিনয় করে বিষয়টি ক্লোজ করতে বলেন, কেউ যেন না জানে। তার দিকে তাকিয়ে এটা বাদ দিতে বলেন এবং এটাতে কমিশন আছে বলে প্রলুব্ধ করেন। এসআই ফখরুল বার বার অনুরোধ করেন যাতে বিষয়টি জানাজানি না হয়।

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক শুক্রবার জুমার নামাজের আগে আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।  

বাদ জুমা আবারও ফোন দিলে তিনি বলেন, শাহীন নামে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তিনি হবিগঞ্জের ফুড ইন্সপেক্টর। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার কারণে তাকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি না নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও কোনো আর্থিক লেনদেনের কথা তিনি অস্বীকার করেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার শাহরিয়ার আলম বলেন, যদি কোনো আর্থিক সুবিধা নেওয়ার ঘটনা ঘটে, তাহলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত