ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্র সংস্কারই এই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীতে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা মাত্র ১০০ দিন আগে একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছিলাম। এটি ছিল ছাত্র-জনতার একটি বিপ্লব, যা গত ১৬ বছর ধরে শাসন করা এক ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করেছে। এর জন্য এক হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী, শ্রমিক এবং সাধারণ প্রতিবাদকারীকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার ছাত্রজনতা। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে আসুন আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি- যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যারা চিরদিনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, দৃষ্টিশক্তি এবং শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছেন এবং যারা এখনও জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশীদের জুলাই-আগস্টে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড দেখার জন্য রাজধানী ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ঠিক একশ দিন আগে এই শহরে যা ঘটে গেছে, তা আপনার নিজ চোখে দেখে যান। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করে রঙিন চিত্রে আঁকা রাস্তার দেয়ালগুলো দেখুন। দেখতে পারবেন কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে তরুণ প্রজন্ম কী চায়, তাদের অভিব্যক্তি দেখে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেন না। এই ঐতিহাসিক সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য অনুরোধ করছি।
এই বিপ্লবের কোনও ডিজাইনার ছিল না, কোনও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছিল না এবং কোনও সংস্থা এটিকে অর্থায়ন করেনি। তরুণরা তাদের নিজের শক্তিতে করেছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।