মৃত ভেবে দাফন-কাফনের প্রস্তুতির কথাও বলছিল স্বজনদের, আশা ছেড়ে দিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা কেউ কেউ। তবে সেই সময়েও হাল ছাড়েনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
ঢাকা মেডিকেল দিয়ে শুরু, এরপর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), এমনকি সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে উন্নত চিকিৎসায় সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শিশু বাসিত খান মুসাকে। সেই ছোট্ট মুসা অবশেষে চোখ খুলেছে, নাড়তে শুরু করেছে হাত-পাও।
আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) শিশু মুসার অলৌকিকভাবে ফিরে আসার গল্পের কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য শাহরিয়ার মাহমুদ ইয়ামিন।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে ঢাকা মেডিকেল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ২২ অক্টোবর শিশু মুসাকে এয়ার এম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সিঙ্গাপুরে গিয়ে শুরুতেই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছিল, যা শুনে রীতিমতো কান্না চলে আসছিল আমার। পরে করোনা থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে পুরোদমে চিকিৎসা শুরু হয়।