বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তর মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন- বিএইচআরএফ চেয়ারপার্সন এডভোকেট এলিনা খান ও মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় সীমা আরো তিন মাস বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকারের আয়কর আইন ২০২৩ এর আলোকে প্রতিবছর ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর । চলতি অর্থ বছর দেশের ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যূত্থানে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয় । এতে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে নি। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান সমূহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় সীমা সরকার ১মাস সময় বৃদ্ধি করলেও চলতি বছর দেশের ব্যাংকিং খাতে চরম তারল্য সংকট, ব্যবসা বানিজ্য স্থবিরতা থাকায় ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যক্তি শ্রেনীর আয়কর রিটার্ন দাখিল করা নিয়ে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দুশ্চিন্তায় রয়েছে। তারল্যসংকট এর কারনে বেশ কিছু ব্যাংক দৈনিক পাঁচ দশ হাজার টাকার বেশি চেক যেখানে পাশ করতে পারছে না সেখানে নগদ টাকায় চালান বা পে-অর্ডার মূলে কর পরিশোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা চলতি বছর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আয়করের টাকা সরাসরি সরকারের রাজস্ব হিসাবে চালান মূলে জমা করার শর্ত আরোপ করা হয়, এতে দূর্ভোগ আরও বেড়েছে । লক্ষ লক্ষ টাকা ক্যাশ নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখায় গিয়ে জমা দেওয়া একদিকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিদ্যমান অপর দিকে তারল্য সংকটের কারনে ব্যাংক সমূহ একসাথে নির্দিষ্ট পরিমান টাকার বেশি উত্তোলনের সুযোগ না থাকায় ঘোষিত সময়ে করদাতা নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান সমূহ মারাত্মক সংকটে পতিত হবে।
এতে সরকারের রাজস্ব সংকটও বৃদ্ধি পাবে। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে তারল্যসংকট স্বাভাবিক হওয়ার জন্য সংগতকারনে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা কমপক্ষে আরো তিন মাস বৃদ্ধির দাবী জানান মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ। যাতে নাগরিকদের করের বোঝা আরও বেড়ে না যায় এবং করদাতারা যাতে কোন ধরনের জরিমানা ছাড়া আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন তৎ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন করা বাঞ্ছনীয়। নাগরিকদের করপ্রদানের বিধান আরো সহজ করে অর্থনীতির চাকাকে আরো সচল করতে তারা সরকারের কাছে জনগুরুত্বপ পূর্ণ বিষয়টি অতীব গুরুত্বসহকারে বিবেচনার দাবী করেন।