পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটারের জমাকৃত এজেন্টদের দুই কোটি ২৪ লাখ টাকা হাতিয়ে দায়িত্বরত ম্যানেজার মো. মিরাজ উদ্দিন (৫৫) পালিয়েছে। ফলে মঠবাড়িয়া, ভাণ্ডারিয়া ও বামনা উপজেলার বিকাশ এজেন্টরা আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হয়ে ব্যবসায় ঝুঁকিতে পড়েছেন।
এ ঘটনায় উপজেলার বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটর মো. বদরুল আহসান শামীম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় ম্যানেজারকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
অভিযুক্ত ম্যানেজার মো. মিরাজ উদ্দিন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আলীমাবাদ গ্রামের আব্দুর রশিদ মিঞার ছেলে।
থানা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের থানাপাড়া এলকায় বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর এর কার্যালয়ে ফাইন্যান্স ম্যানেজার হিসেবে মিরাজ উদ্দিন তের বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। তিনি বিকাশ এজেন্টদের সকল টাকা লেনদেন করেন। দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটার বদরুল আহসান শামীম তার কাছে হিসাব চাইলে সে সময় ক্ষেপণ করে আসছিলেন।
গত ৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে লেন দেন সংক্রন্ত হিসাব চাইলে মিরাজ দিতে ব্যার্থ হয়। পরবর্তীতে মিরাজ কাউকে কিছু না বলে অফিসের ক্যাশে মাস্টার ওয়ালেট ও পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংকের চেকের পাতায় অগ্রীম স্বাক্ষর করাছিল। মিরাজ সুপার ভাইজার, ডিএসও এবং অন্যান্য কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সময় টাকা উত্তলন করতো। এসময় তার কাছে থাকা এক কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং মঠবাড়িয়া, ভাণ্ডারিয়া ও বামনা উপজেলার জন্য নিয়োগকৃত ২১জন ডিএসওদের কাজে লাগিয়ে তার নিজের পদ পদবী ব্যবহার করে তিন উপজেলার এজেন্টদের কাছ থেকে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা সর্বমোট দুই কোটি ছাব্বিশ লাখ টাকা অজ্ঞাতনামা লোকদের মাধ্যমে ওই দিন সন্ধ্যায় পালিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বিকাশ মঠবাড়িয়া দপ্তরের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (পিএসও) সঞ্জয় হাওলাদার বলেন, ২১জন সেলস অফিসার মাঠের এজেন্টদের নিকট হতে টাকা উত্তোলন করে ম্যানেজার এর নিকট জমা দিয়েছে। ম্যানেজার তার হিসাব ঠিকমত না দিয়ে টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে গেছে। ফলে সেলস অফিসার ও এজেন্টরা বিপাকে পড়েছেন।
বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটর বদরুল আহসান শামীম বলেন, অফিসের টাকার ঠিকমত ম্যানেজার হিসাব দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে বেশ কিছুদিন ধরে চাপ প্রয়োগ করা হয়। এরপর সে টাকা পয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভাণ্ডারিয়া) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভূক্তভোগি বিকাশ ডিষ্ট্রিবিউটর টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ম্যানেজার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।