সিনিয়র-জুনিয়র সংঘাতের দায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের রাসেল মিয়ার ১ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতসহ একাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাক্ষরিত ঐ বিজ্ঞপ্তিতে রাসেল মিয়ার (১৬ তম আবর্তন) ১ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বাতিল ও হলের আবাসিকতা আজীবন বাতিলের কথা বলা হয়। এছাড়াও ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হবে না মর্মে মুচলেকা প্রদানের কথা বলা হয়।
আরেক অভিযুক্ত আকমল হোসেন শাকিরের (১৬ তম আবর্তন) হলের আবাসিকতা আজীবন বাতিল ও ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে না মর্মে মুচলেকা প্রদানের কথা বলা হয়।
এছাড়াও, আবু রুহান, শেখ সুলাইমান শান্ত, রবিউল হাসান রবিন, মুনতাসির মারুফ আসিফ, রাকিব ইসলাম, আবিদ হাসান, সাব্বির সরকার রোমন , নাজমুল উদ্দিন, পারভেজ মাতুব্বর, আজহারুল ইসলাম প্রান্ত এবং ইমতিয়াজ আলম ইভান কে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কার্যকলাপে লিপ্ত হবে না মর্মে মুচলেকা প্রদানের নির্দেশ প্রদান এবং ভবিষ্যতে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ম্যানার শেখানো বা পরিচয় পর্বের নামে হয়রানিমূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যাচকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং সব ধরনের অপরাধ দমনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৎপর থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ঘটনায় বিগত প্রশাসনের তদন্ত কমিটির দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে সুপারিশের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ তম সিন্ডিকেট মিটিংএ সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গুলোর অনুমদিত হয়। এর মাধ্যমে যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীতে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় থাকে এবং ঘটনা যেনো পুনরাভিত্তি না হয় সেই লক্ষ্যে সিন্ডিকেট কমিটি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।