ঈশ্বরদীতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির প্রয়োগ, সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১২টায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আয়োজিত এবং উপজেলা প্রশাসন ঈশ্বরদী, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিএসআরআই)'র যৌথ বাস্তবায়নে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও মন্ত্রণালয়ের উপসচিব প্রশান্ত কুমার দাস।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসআরই এর সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মোঃ লুৎফুর রহমান আর সয়াবিন নিয়ে আলোচনা করেন। বিএসআইআর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কিরণ শিকদার। মোট দশটি স্টল প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।
এসময় ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান টিপু ও সাধারণ সম্পাদক এসএম ফজলুর রহমান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবদুর রহমান খান ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা রানী সরকার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, সব প্রযুক্তিকে লাগসই প্রযুক্তি বলবোনা। স্থানীয় ভাবে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিকে লাগসই প্রযুক্তি বলা হয়। বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে আমরা ব্যবহার করতে পারি। দেশের অনেক জায়গা আছে যেখানে পানি সংকট, সেখানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পারিবারি কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। সয়াবিন থেকে সয়ামিল্ক উৎপাদন করা যায়। এক কেজি সয়াবিন থেকে দশ কেজি দুধ তৈরি করা যায়। কৃষির উৎপাদিত পন্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা পাচ্ছে কৃষক। খরচ কম এবং মান সম্মত পণ্য উৎপাদন করাই হচ্ছে লাগসই প্রাযুক্তি। বিদেশি প্রযুক্তিতে খরচ অনেক বেশি হয়। দেশী প্রযুক্তিতে খরচ তুলনামূলক অনেক কম হয় এবং সহজে হাতের নাগালে পাওয়া যায়। দেশের স্বার্থে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা স্টল পরিদর্শন করেন।