রংপুরের গঙ্গাচড়ায় যৌতুকের জন্য নির্যাতনের পর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে গজঘণ্টা ইউনিয়নের জয়দেব এলাকায় শারমিন আক্তার (২২) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মুশফিকুর রহমান সোহাগকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছে, বিয়ের সময় নগদ ১ লক্ষ টাকা ও আসবাবপত্রসহ যৌতুক দিলেও সোহাগ এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। বিয়ের ছয় মাসের মাথায় আরও যৌতুকের দাবিতে শারমিনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। শারমিন একসময় বাবার বাড়িতে ফিরে গিয়ে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। পরে সোহাগ ক্ষমা চেয়ে শারমিনকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যান। তবে অভিযোগ রয়েছে, এরপরও যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করা হতো।
শনিবার রাতে সোহাগের বাড়ি থেকে শারমিনের বাবার বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শারমিনের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে দেখে, পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, শারমিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে তাকে নির্যাতনের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শারমিনের বাবা আউয়াল হোসেন বলেন, আমি মেয়ের বিয়ের সময় সাধ্যমতো যৌতুক দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও তারা সন্তুষ্ট ছিল না। আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আল এমরান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে, তদন্ত চলমান।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শেষ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।